রাশিয়া নতুন একটি কৌশলগত অস্ত্র তৈরি করছে। এ বিষয়ে মস্কো শিগগিরই একটি বড় ঘোষণা দিতে পারে। কেননা বিশ্বে ইতোমধ্যেই একটি ‘অস্ত্র প্রতিযোগিতা’ চলছে।
শুক্রবার তাজিকিস্তানে এক শীর্ষ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এমনটাই জানিয়েছেন।
পুতিন বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমরা কিছুক্ষণ আগে ঘোষণা করা নতুন অস্ত্র সম্পর্কে রিপোর্ট করার সুযোগ পাব। এই অস্ত্রগুলো তৈরি এবং পরীক্ষা করা হচ্ছে। পরীক্ষাগুলো সফলভাবে এগিয়ে চলেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতার অভিনবত্ব অন্য যে কোনো পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশের তুলনায় বেশি। আমরা সক্রিয়ভাবে এটির সবকিছুই বিকাশ করছি। আমরা আগের বছরগুলোতে যা উল্লেখ করেছি, তা বিকাশ করছি; আমরা এটি চূড়ান্ত করার জন্য কাজ করছি।’
২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে কার্যকর হওয়া ‘নিউ স্টার্ট’ চুক্তিটি ছিল মস্কো এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে সবশেষ বড় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি। চুক্তিটি ২০১০ সালে সই হয়েছিল, যার মাধ্যমে দুই দেশ কৌশলগত পারমাণবিক ওয়ারহেড মোতায়েনের সংখ্যা সীমিত করে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। রাশিয়া এটি এগিয়ে নিতে চাইলেও ওয়াশিংটন এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাবে সম্মত হয়নি।
‘ট্রাম্পকে নোবেল না দেওয়ায় এ পুরস্কারের সম্মান কমে গেছে’
রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন শুক্রবার বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জটিল আন্তর্জাতিক সংকট সমাধানে ‘অতি আপ্রাণ প্রচেষ্টা’ করছেন।
পুতিন দূশানবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘কিছু ক্ষেত্রে কমিটি এমন ব্যক্তিদের নোবেল শান্তি পুরস্কার দিয়েছে যারা শান্তির জন্য কিছুই করেনি।’
তিনি যুক্তি দেখান, এর ফলে নোবেল পুরস্কারের সম্মান ও কর্তৃত্ব কমে গেছে। তবে তিনি যুক্তি দিয়েছেন, ‘তবুও ট্রাম্প দীর্ঘকাল ধরে চলা জটিল সংকট সমাধানে অনেক কাজ করছেন।’ তিনি বিশেষভাবে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে উল্লেখ করে বলেন, যদি ট্রাম্পের ২০-পয়েন্ট পরিকল্পনা গাজা অঞ্চলে কার্যকর হয়, তা হবে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।
ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গে পুতিন বলেন, ট্রাম্প আন্তরিকভাবে যুদ্ধ শেষ করার চেষ্টা করছেন। এ যুদ্ধ ইতোমধ্যেই তিন বছর ছয় মাস অতিক্রম করেছে।
এর আগে শুক্রবার নরওয়ের নোবেল কমিটি ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা মারিয়া করোনা মাচাদোকে ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদান করে। মাচাদোকে ‘ভেনিজুয়েলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় নিরলস প্রচেষ্টার জন্য’ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। যদিও ট্রাম্প নিজেকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে প্রস্তাব করেছিলেন, তবু কমিটি তার পরিবর্তে মাচাদোকে পুরস্কৃত করেছে।
পুতিনের মন্তব্যে ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ধন্যবাদ!’ এবং পুতিনের বক্তব্যের ভিডিও শেয়ার করেছেন।