বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মরুর বুকে ফুলের বাগান

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১১ অক্টোবর, ২০২৫ ০০:১৩

লাতিন আমেরিকার দেশ চিলির আতাকামা মরুভূমিতে এক বিরল দৃশ্য দেখা দিয়েছে। বছরের বেশির ভাগ সময় যেখানে ধুলা উড়তে থাকে, সেই নির্জন মরুপ্রান্তরে এখন ছড়িয়ে আছে রঙিন ফুলের গালিচা। এ যেন মরুর বুকে ক্ষণিকের এক রূপকথা।চিলির লানোস দে চায়ে জাতীয় উদ্যান এলাকায় এ বছর অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পর বুনো ফুল গাছে ভরে গেছে আতাকামা মরুভূমি। বিশ্বের সবচেয়ে শুষ্ক এই মরুভূমিতে বছরে গড়ে মাত্র দুই মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। তবে এ বছরের শীতে পাহাড়ি অঞ্চল এবং পাদদেশে নজিরবিহীনভাবে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে।সেই বৃষ্টির পানিতেই মাটির নিচে ঘুমিয়ে থাকা দুই শতাধিক প্রজাতির বীজ জেগে ওঠে ফুলে ফুলে ভরে গেছে। গোলাপি, বেগুনি, হলুদ আর নীল—নানা রঙের এই উৎসবে মরুভূমি যেন নতুন প্রাণ পেয়েছে।চিলির জাতীয় প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘরের উদ্ভিদবিদ ভিক্টর আরদিলেস বলেন, ‘বছরের পর বছর এই বীজগুলো মাটির নিচে ঘুমিয়ে থাকে। যথেষ্ট আর্দ্রতা পেলে তারা জেগে ওঠে, অঙ্কুরিত হয়, আর ফুটে ওঠে ফুল।’তবে সব বীজ যে জেগে ওঠে, তা নয়। পর্যাপ্ত পানি, তাপমাত্রা, আলো আর আর্দ্রতা—এই চারটি উপাদান একসঙ্গে না মিললে ফুল ফোটে না। এই সৌন্দর্যের আয়ুও খুব বেশি নয়। নভেম্বর নাগাদ বেশির ভাগ ফুল ঝরে যাবে। কেবল শক্ত প্রাণের কিছু বুনো ফুল জানুয়ারি পর্যন্ত টিকে থাকবে।এই ক্ষণস্থায়ী ফুলেল মরু দেখার জন্য ছুটে আসছেন হাজারো মানুষ। রাজধানী সান্তিয়াগো থেকে ৮০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে অনেকেই আসছেন এই রঙিন গালিচা দেখতে। পর্যটক মারিৎসা বারেরা বললেন, ‘ভাবনার চেয়েও বেশি মোহময় এই দৃশ্য।’এই বিরল প্রকৃতি রক্ষায় চিলি সরকার ২০২৩ সালে ৫৭০ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করে। নাম দেওয়া হয়েছে ডেজার্ট ব্লুম ন্যাশনাল পার্ক। গবেষকেরা বলছেন, পৃথিবীর আর কোথাও মরুভূমি এভাবে ফুলে ফুলে ভরে ওঠে না। তাই আতাকামার এই ক্ষণিকের রূপ, যত দিন আছে, উপভোগ করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

এ বিভাগের আরো খবর