মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কার না পাওয়ায় হোয়াইট হাউস নোবেল কমিটির সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টিভেন চিউং বলেছেন, নোবেল কমিটি প্রমাণ করেছে যে তারা শান্তির চেয়ে রাজনীতিকে বেশি গুরুত্ব দেয়।
শুক্রবার কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টিভেন চিউং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লেখেন, ট্রাম্প একজন মানবতাবাদী হৃদয়ের অধিকারী, এবং তার মতো দৃঢ়চেতা নেতা বিরল। তিনি আরও বলেন, নোবেল কমিটির এই সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে যে তারা প্রকৃত শান্তির চেয়ে রাজনৈতিক স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
ট্রাম্প বহুবার প্রকাশ্যে বলেছেন তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য। গতকালও তিনি দাবি করেন যে তার প্রথম ও দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি গাজা যুদ্ধসহ অন্তত আটটি বৈশ্বিক সংঘাতের সমাধান করেছেন। তবে এসব সংঘাতের মধ্যে বেশ কয়েকটি স্থায়ী শান্তি নয়, বরং অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি বা আঞ্চলিক সমঝোতার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেছেন।
এই বছরের শুরুতে ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে ১২ দিনের যুদ্ধের মধ্যস্থতায় ট্রাম্পের ভূমিকা ছিল বলে ধারণা করা হয়। তবে অন্যান্য সংঘাত, যেমন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা নিরসনে তার জড়িত থাকার প্রমাণ তুলনামূলকভাবে সীমিত। কারণ নয়াদিল্লিও তার ভূমিকার গুরুত্বকে খাটো করে দেখেছে।
এছাড়া ট্রাম্প মিশর ও ইথিওপিয়ার মধ্যে গ্র্যান্ড ইথিওপিয়ান রেনেসাঁ বাঁধ নিয়ে বিরোধ নিরসনের কৃতিত্ব দাবি করেছেন, যদিও সেই আলোচনায় তার কোনো স্পষ্ট সাফল্য দেখা যায়নি। তার প্রথম মেয়াদে সার্বিয়া ও কসোভোর মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তিতেও তিনি কূটনৈতিক সাফল্যের দাবি করেছিলেন, কিন্তু চুক্তির বেশিরভাগ শর্তই বাস্তবায়িত হয়নি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে ট্রাম্পের এই হতাশা নতুন নয়। অতীতেও তিনি একাধিকবার অভিযোগ করেছেন যে নোবেল কমিটি তার আন্তর্জাতিক অবদানকে উপেক্ষা করেছে।