যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা শুরু করেছেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দুটি সংবাদমাধ্যম।
ওয়াশিংটন টাইমস ও অ্যাক্সিওসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার শুরু করলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে, মূলত তা নিয়েই প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
ওয়াশিংটন টাইমসের উদ্ধৃতি দিয়ে চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া এ খবর জানায়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলাইমানির হত্যার পঞ্চমবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণসভায় যুক্তরাষ্ট্রকে পরাজিত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।
২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আমেরিকান ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের বিপ্লবী গার্ডের প্রধান কাসেম সোলাইমানি এবং ইরাকি মিলিশিয়া নেতা আবু মাহদি আল-মুহানদিস। এ হামলাকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ইরান।
তেহরানে আয়েজিত এক সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির তীব্র সমালোচনা করে তাদের শোষণমূলক আচরণের বিরোধিতা করেন পেজেশকিয়ান।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের দুর্বল দেশগুলোকে নীরবে শোষণ করে নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখেছে।
তিনি আমেরিকানদের পরাজিত করারও হুঁশিয়ারি দেন।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিচার বিভাগের প্রধান গোলাম হোসেইন মোহসেনি-ইজেই এবংপার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ বাকের কালিবাফসহ শীর্ষ নেতারা।
পেজেশকিয়ান বলেন, ‘সোলাইমানির হত্যা প্রমাণ করে বিশ্বে মানবাধিকারের অন্যতম দাবিদার যুক্তরাষ্ট্র কতটা অমানবিক। ইরান সবসময় সত্যের পক্ষে থাকবে এবং আমরা এই পথে তাদের পরাজিত করব।’
এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারির মুখে এরই মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
হোয়াইট হাউস জানায়, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা জানালেও বৈঠকে এখনও পর্যন্ত ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার কোনো অনুমোদন দেয়া হয়নি।
অ্যাক্সিওসের দাবি, এরই মধ্যে ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।