যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালন করা প্রথম কোনো ব্যক্তি হিসেবে বৃহস্পতিবার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ডনাল্ড ট্রাম্প।
গুরুতর ৩৪টি অপরাধের অভিযোগের সবগুলোতে ট্রাম্পকে দোষী ঘোষণা করেন নিউ ইয়র্ক সিটির একজন বিচারক।
পর্ন তারকার মুখ বন্ধ রাখতে অর্থ দেয়ার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ব্যবসা সংক্রান্ত নথিতে মিথ্যা তথ্য দেয়ার ঘটনায় দোষী হন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট।
এ মামলার সাজা ঘোষণা হবে ১১ জুলাই, যে তারিখের চার দিন পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন দেবে রিপাবলিকান পার্টি।
এমন বাস্তবতায় আদালতে দোষী হওয়া ট্রাম্প ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে লড়তে পারবেন কি না, সে প্রশ্ন সামনে এসেছে।
এ নিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, অন্যান্য দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থিতার যোগ্যতা অপেক্ষাকৃত কম। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট পদের কোনো প্রার্থীর বয়স হতে হবে কমপক্ষে ৩৫ বছর। তাকে জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে হবে এবং কমপক্ষে ১৪ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতে হবে।
দেশটিতে অপরাধের ইতিহাস থাকা কারও প্রার্থিতা বাতিলের বিধান নেই, তবে মামলায় ট্রাম্পের দোষী হওয়ার প্রভাব পড়তে পারে নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে।
চলতি বছরের শুরুতে ব্লুমবার্গ ও মর্নিং কনসাল্ট পরিচালিত জনমত জরিপ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে দোদুল্যমান ভোটার থাকা অঙ্গরাজ্যগুলোর ৫৩ শতাংশ ভোটার জানিয়েছেন, দোষী হলে ট্রাম্পকে ভোট দেবেন না তারা।
চলতি মাসে কুইনিপিয়াক ইউনিভার্সিটির এক জরিপ অনুযায়ী, দোষী সাব্যস্ত হলে ট্রাম্পকে ভোট দেবেন না ছয় শতাংশ ভোটার। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের নির্বাচনে সংখ্যাটি গুরুত্বপূর্ণ।