বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দক্ষিণ কোরিয়ায় বেলুনে বর্জ্য পাঠাল উত্তর

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৯ মে, ২০২৪ ১৯:২০

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ছবিতে দেখা যায়, সাদা স্বচ্ছ বেলুনের সঙ্গে তারের মাধ্যমে সংযুক্ত ব্যাগগুলোতে টয়লেট পেপার, গাঢ় মাটি ও ব্যাটারিসহ অন্যান্য সামগ্রী রয়েছে৷ পড়ে যাওয়া কিছু বেলুন থেকে গাঢ় রঙ ও গন্ধ বের হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, মল থেকে এই দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে লড়াইয়ে এবার এক অভিনব কৌশল ব্যবহার করেছে উত্তর কোরিয়া। প্রতিবেশী দেশটি মঙ্গলবার রাত থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় আবর্জনা বহনকারী প্রায় ২৬০টি ভাসমান বেলুন পাঠিয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা কিছু ছবিতে দেখা যায়, সাদা স্বচ্ছ বেলুনের সঙ্গে তারের মাধ্যমে সংযুক্ত ব্যাগগুলোতে টয়লেট পেপার, গাঢ় মাটি ও ব্যাটারিসহ অন্যান্য সামগ্রী রয়েছে৷ এর মধ্যে কয়েকটি ছবিতে পুলিশ ও সামরিক কর্মকর্তাদের দেখা যায়।

দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি জানায়, পড়ে যাওয়া কিছু বেলুন থেকে গাঢ় রঙ ও গন্ধ বের হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, মল থেকে এই দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জনসাধারণকে বাড়ির ভেতরে অবস্থান করার অনুরোধ জানিয়েছে। পাশাপাশি নোংরা বর্জ্য ও আবর্জনা ভরা সাদা বেলুনের সঙ্গে যুক্ত প্লাস্টিকের ব্যাগ স্পর্শ করার বিষয়ে সতর্ক করেছে।

তারা বলেছে, বেলুনে উত্তর কোরিয়ার প্রচারণামূলক কোনো লিফলেট আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার নয়টি প্রদেশে এ পর্যন্ত এমন বর্জ্য বোঝাইআটটি বেলুন পাওয়া গেছে। বেলুনগুলো পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

সীমান্ত এলাকায় ঘন ঘন লিফলেটসহ অন্যান্য আবর্জনা ছড়িয়ে দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া- সম্প্রতি এমন অভিযোগ করে উত্তর কোরিয়া এর বিরুদ্ধে প্রতিশোধের ঘোষণা দেয়ার কয়েকদিন পরই বেলুনগুলো বাতাসে ভেসে এসেছে।

উত্তর কোরিয়ার ভাইস মিনিস্টার অফ ডিফেন্স কিম কাং ইল রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বর্জ্য ও ময়লার স্তূপ শিগগিরই সীমান্ত এলাকা ও রিপাবলিক অফ কোরিয়ার (আরওকে) অভ্যন্তরে ছড়িয়ে পড়বে। এসব আবর্জনা অপসারণের জন্য কতটা প্রচেষ্টা প্রয়োজন হবে পরিস্থিতি বিবেচনায় বলা যাবে।’

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের উত্তর ও সীমান্ত অঞ্চলের বাসিন্দারা প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ থেকে মঙ্গলবার রাতে একটি খুদে বার্তা পান। বার্তায় বাসিন্দাদের বাইরে বের হয়ে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।

বার্তায় বাসিন্দাদের অপরিচিত বস্তু দেখতে পেলে কাছাকাছি অবস্থানে থাকা সামরিক ঘাঁটি বা থানায় অবগত করতে নির্দেশ দেয়া হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী এটিকে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ‘বিষয়টি আমাদের জনগণের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। বেলুনের কারণে যা ঘটছে তার জন্য উত্তর কোরিয়া সম্পূর্ণভাবে দায়ী। আমরা অবিলম্বে এই অমানবিক ও নোংরা কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য উত্তর কোরিয়াকে কঠোরভাবে সতর্ক করছি।’

প্রসঙ্গত, দুই দেশের মধ্যে ১৯৫০ সালের কোরিয়ান যুদ্ধের পর থেকে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া তাদের প্রচারণায় বেলুন ব্যবহার করেছে।

এ বিভাগের আরো খবর