গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে ইসরায়েল সর্বাত্মক হামলা চালিয়ে হামাসকে নির্মূল করতে পারবে না। ইসরায়েলের এই হামলা উল্টো অরাজকতাকে উস্কে দেবে।
রাফায় ইসরায়েলি অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন রোববার এ কথা বলেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানও ইসরায়েলের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হানেগবির সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে রাফা অভিযান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন।
হোয়াইট হাউস থেকে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্বেগকে ইসরায়েল বিবেচনায় নিচ্ছে বলে হানেগবি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে রাফার পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলের বোমা হামলার কারণে ইতোমধ্যে গাজার তিন লাখ অধিবাসীকে ওই এলাকা থেকে সরে যেতে হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে সিবিএসের ‘ফেস দ্য নেশন’ অনুষ্ঠানে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী হামাস জঙ্গিদের চেয়েও বেসামরিক লোককে বেশি হত্যা করেছে বলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিবৃতির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র একমত কিনা এ প্রশ্নের জবাবে ব্লিংকেন বলেছেন, ‘হ্যাঁ, আমরাও তাই মনে করি। উপরন্তু রাফায় ইসরায়েলের পূর্ণ মাত্রার অভিযানে অবিশ্বাস্যরকমভাবে হতাহতের ঘটনা ঘটবে। এমনকি রাফায় ব্যাপক অভিযান চালানো হলেও হামাসের হুমকিকে শেষ করা যাবে না।’
যুক্তরাষ্ট্রের এই শীর্ষ কূটনীতিক আরও বলেন, ‘হামাস জঙ্গিরা ইতোমধ্যে উত্তর গাজার কিছু এলাকায় ফিরে এসেছে, যা ইসরায়েল মুক্ত করেছিল।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, ব্লিংকেন রোববার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্টের সঙ্গে আলাপকালে রাফায় ব্যাপকভাবে স্থল অভিযান চালানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক বড় ধরনের হামলা চালায়। এ সময় তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ জন ইসরায়েলিকে হত্যা এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করে। এখনও হামাসের কাছে ১২৮ জন জিম্মি হিসেবে আটক রয়েছে।
এদিকে ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে, যা এখনও চলছে। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত এই হামলায় ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।