ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পাঁচটি ইউনিট আলাদা ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী বলে প্রমাণ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
ঘটনাগুলো চলমান যুদ্ধের আগে গাজার বাইরে সংঘটিত হয়েছিল, তবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরও যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে দেয়া সামরিক সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি তাদের মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে এ কথা জানায়।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল চারটি ইউনিটে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে এবং পঞ্চমটির বিষয়ে ‘অতিরিক্ত তথ্য’ দিয়েছে। অর্থাৎ সব ইউনিটই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা পাবে।
ওয়াশিংটন ইসরায়েলের প্রধান সামরিক সমর্থক। প্রতি বছর দেশটিকে ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করে থাকে তারা।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, ‘নিরাপত্তা বাহিনীর পাঁচটি ইউনিট মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন করেছে। ইউনিটগুলোর মধ্যে চারটি কার্যকরভাবে লঙ্ঘনের প্রতিকার করেছে, যা আমরা অংশীদারদের কাছ থেকে আশা করি।’
তিনি বলেন, ‘বাকি একটি ইউনিটের বিষয়ে আমরা ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।’
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর এবং জেরুজালেমে মানবাধিকার লঙ্ঘনের এসব ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তারা নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, জোরপূর্বক গুম এবং ধর্ষণকে এ ধরনের লঙ্ঘন হিসাবে বিবেচনা করে থাকে।