ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বিমান হামলায় চার বিদেশি সহায়তাকর্মী ও তাদের গাড়ির চালক নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি হামলায় তারা নিহত হন বলে মঙ্গলবার গাজার শাসক দল হামাসের বরাতে জানিয়েছে বিবিসি।
ফিলিস্তিনের একটি সূত্র বলছে, ওই ব্যক্তিরা বুলেট প্রুফ ভেস্ট পরে ছিলেন। তারা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ওয়াল্র্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) হয়ে কাজ করছিলেন।
ডব্লিউসিকে এ হামলাকে বিয়োগাত্মক বলে মন্তব্য করেছে। আর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা পরিচালনা করছে।
মধ্য গাজা উপত্যকার আল-আকসা হাসপাতালের চিকিৎসা সূত্র বলেছে, চার কর্মীর মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে। উপকূলীয় সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় দেইর আল-বালাহ এলাকায় তাদের গাড়ি বিমান হামলার শিকার হয়।
খাবার নিয়ে যাওয়ার সময় হামলায় নিহতদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও ফিলিস্তিনের নাগরিক রয়েছেন বলে আল জাজিরা জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল (এনএসসি) গাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় পাঁচ কর্মীর নিহত হওয়ার ঘটনাকে উদ্বেগজনক বলে বর্ণনা করেছে এবং ইসরায়েলকে দ্রুত তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছে।
এনএসসির মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন বলেছেন, মানবিক সহায়তা কর্মীদের অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে, কারণ তারা এমন সহায়তা সরবরাহ করে যা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
ইসরায়েলে ঢুকে হামাস গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দেয় দেশটি।
এ অবস্থায় গাজায় জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্তি ও ইরসায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে ও গাজায় মানবিক সহায়তায় পাঠানোর শর্তে গত ২৪ নভেম্বর প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।
এরপর এই যুদ্ধবিরতি চলে সাত দিন। এই সাত দিনে হামাস ১১০ জনকে এবং ইসরায়েল মুক্তি দিয়েছে ২৪০ জনকে। তবে আন্তর্জাতিক নানা মহলের চেষ্টা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আর বাড়েনি।
হামলার সময় প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল। ইসরায়েল বলছে, গাজায় এখনো অনেক জিম্মি রয়েছে। এ ছাড়া ইসরায়েল নির্বিচারে বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালিয়ে গাজায় ৩২ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে। এদের প্রায় ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু।