ইসরায়েলের দখলকৃত ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডগুলোতে বসতির সম্প্রসারণে রেকর্ড হয়েছে উল্লেখ করে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান শুক্রবার বলেছেন, এ ধরনের স্থাপনা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বাস্তব সম্ভাবনাকে শেষ করে দিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেন, ইসরায়েলের বসতি বৃদ্ধির অর্থ হলো ইসরায়েল কর্তৃক নিজ জনগোষ্ঠীকে স্থানান্তর, যা যুদ্ধাপরাধ।
দখলকৃত পশ্চিম তীরে নতুন করে বাড়ি নির্মাণে ইসরায়েলের ঘোষণার পর গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন বলেছিল, এসব স্থাপনা আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।
‘বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা ও বসতি সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘন চরম নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে এবং তা কার্যকর কোনো ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বাস্তব সম্ভাবনাকে নস্যাতের ঝুঁকি তৈরি করেছে’, বলেন ভলকার তুর্ক।
দখলকৃত ভূখণ্ডে ইসরায়েলের স্থাপনা নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধানের প্রতিবেদনটি জেনেভায় মানবাধিকার পরিষদে চলতি মাসের শেষের দিকে উপস্থাপন করা হবে।
এদিকে জেনেভায় ইসরায়েলের কূটনৈতিক মিশন বলেছে, ভলকার তুর্কের প্রতিবেদনে ২০২৩ সালে ৩৬ ইসরায়েলির মৃত্যুর বিষয়টি উল্লেখ করা দরকার ছিল।
মিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মানবাধিকার সর্বজনীন হলেও ফিলিস্তিনিদের সন্ত্রাসের শিকার ইসরায়েলিদের প্রায়শ উপেক্ষা করছে হাইকমিশনার কার্যালয়।’