ঘুষের মামলার বিচার থেকে পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) ও বিধায়করা (এমএলএ) রেহাই পাবেন না সোমবার রায় দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারকের বেঞ্চ ঐতিহাসিক এ রায় দেয় বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ১৯৯৮ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ যে রায় দিয়েছিল, তা আজ খারিজ করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
দুই যুগের বেশি সময় আগে দেয়া ওই রায়ে ভারতের পার্লামেন্ট বা বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভায় ঘুষ নিয়ে বক্তব্য বা ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে আইনপ্রণেতাদের রেহাই দেয়ার বিষয়টি বহাল রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট।
এ সংক্রান্ত রায়ে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছে, সংসদীয় সুবিধাদির রক্ষাকবচে পড়ে না ঘুষ। ১৯৯৮ সালের রায়ের ব্যাখ্যা ভারতের সংবিধানের ১০৫ ও ১৯৪ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ওই দুই অনুচ্ছেদ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ভীতিহীনভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে বিচার থেকে আইনি রেহাই দেয়।
রায়ের বিষয়ে ভারতের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘আমরা পিভি নরসিমা (মামলার) রায়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছিল।’