সাময়িক যুদ্ধবিরতি নয়, ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করতে চায় হামাস।
কাতার অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির একটি কাঠামোর প্রস্তাবের কথা জানানোর পর সোমবার এ কথা বলেন হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা তাহের আল নুনু। খবর বাসসের
তাহের বলেছেন, “আমরা প্রথমেই ‘সম্পূর্ণ এবং ব্যাপক’ যুদ্ধবিরতি নিয়ে কথা বলেছি; সাময়িক যুদ্ধবিরতি নয়। আগে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। তারপর জিম্মি মুক্তিসহ বাকি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।”
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি সোমবার সকালে বলেন, ‘প্যারিসে সিআইএ প্রধান বিল বার্নস এবং ইসরায়েল ও মিসরের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বৈঠকে পর্যায়ক্রমিক যুদ্ধবিরতির কাঠামো নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়।’
এ কাঠামোতে নারী ও শিশু জিম্মিদের আগে ছেড়ে দেয়ার এবং এর ভিত্তিতে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের কথা বলা হয়।
এর আগে কাতারের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধে এক সপ্তাহের বিরতি পালন করা হয়।
২৩ জানুয়ারি ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার শাসক দল হামাসকে দুই মাসের যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দেয় ইসরায়েল।
কাতার এবং মিশরের মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে গাজা থেকে সব জিম্মি মুক্তির অংশ হিসেবে এ প্রস্তাব দেয়া হয় বলে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমে ‘অ্যাক্সিওস’-এর বরাতে জানিয়েছে রয়টার্স।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, চুক্তিটি হবে একাধিক পর্যায়ে; যার মধ্যে প্রথমে নারী ও পুরুষদের মধ্যে যারা গুরুতর অসুস্থ তাদের ৬০-এর বেশি মুক্তি পাবে।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালানোর পর ইসরায়েলও গাজায় পাল্টা নির্বিচারে হামলা শুরু এবং হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকার করে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ২৬ হাজার ৬৩৭ জন প্রাণ হারিয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।