বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাঁচ লাখ নতুন সেনার প্রয়োজন: জেলেনস্কি

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১২:০০

পাঁচ লাখ সেনাসদস্য চাওয়ার বিষয়টিকে ব্যয়বহুল ও স্পর্শকাতর উল্লেখ করে জেলেনস্কি বলেন, ‘যুদ্ধক্ষেত্রে ইতোমধ্যে পাঁচ লাখ সেনা মোতায়েন আছে। সেনা চাওয়ার বিষয়ে সমর্থন দেয়ার আগে বিস্তারিত আরও জানা দরকার।’

ইউক্রেনের সেনাবাহিনী রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে আরও পাঁচ লাখ সেনা চায় বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

দুই বছর ধরে চলমান এ যুদ্ধ নিয়ে কিয়েভে মঙ্গলবার বছরের শেষ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

পাঁচ লাখ সেনাসদস্য চাওয়ার বিষয়টিকে ব্যয়বহুল ও স্পর্শকাতর উল্লেখ করে জেলেনস্কি বলেন, ‘যুদ্ধক্ষেত্রে ইতোমধ্যে পাঁচ লাখ সেনা মোতায়েন আছে। সেনা চাওয়ার বিষয়ে সমর্থন দেয়ার আগে বিস্তারিত আরও জানা দরকার।’

পশ্চিমা বিশ্বের অর্থ ও সামরিক সহায়তার ওপরে ভিত্তি করেই রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন।

কিন্তু সম্প্রতি আমেরিকান কংগ্রেসে ইউক্রেনের জন্য ৬০ বিলিয়ন ডলারের একটি যুদ্ধ সহায়তা প্যাকেজ আটকে দেয় রিপাবলিকানরা। এরপর গত সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৫০ বিলিয়ন ইউরোর একটি তহবিল আটকে দিয়েছে হাঙ্গেরি।

এসব কারণে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া নিয়ে অনেকটা জটিল পরিস্থিতে রয়েছে ইউক্রেন। এর মধ্যে যুদ্ধের ময়দানে ইউক্রেন বাহিনীতে আরও সেনা বাড়ানোর ইচ্ছার কথা জানালেন জেলেনস্কি। আরও সেনা মোতায়েনের অর্থ খরচ বাড়ানো।

যদিও ইউরোপের নেতারা বলে যাচ্ছেন, ইউক্রেনে সহায়তা বন্ধ করা হবে না।

শীতের শুরুতে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে বলে ধারণা দেশটির।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যদি এ সময় যথাযথ সাহায্যের হাত না বাড়ায় তাহলে ইউক্রেনের অবস্থা কঠিন হয়ে পড়বে জানিয়ে চলতি মাসের শুরুর দিকে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের ফার্স্টলেডি ওলেনা জেলেনস্কা বলেন, ‘পশ্চিমা সমর্থন ছাড়া মারা যাওয়ার মতো বিপদে পড়বে ইউক্রেনের মানুষ।’

অন্যদিকে, ইউক্রেনের চলমান পরিস্থিতি সুবিধা এনে দিয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে। চলতি সপ্তাহেই তিনি বলেছেন, ‘তাদের বাহিনী আক্রমণ অব্যাহত রাখবে। সব লক্ষ্য অর্জনের অঙ্গীকার করলাম।’

জেলেনস্কির বছরের শেষ সংবাদ সম্মেলনটি কিয়েভে অনুষ্ঠিত হলেও সংবাদ সম্মেলনস্থল ও সময় সাধারণ মানুষের কাছে গোপন রাখা হয়। ইউক্রেনীয় ও বিদেশি গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের চিঠির মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

এ বিভাগের আরো খবর