লোকপালের নির্দেশনা মেনে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করেছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)।
দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি শনিবার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, তদন্ত নথিভুক্তিকরণের পর তার কাজও শুরু দিয়েছে সিবিআই। তৃণমূল সাংসদ মহুয়ার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হবে কি হবে না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাই।
মহুয়ার সমর্থকরা অবশ্য দাবি করছে, লোকপালের ওয়েবসাইটে এ সম্পর্কে কোনও কিছু বলা হয়নি। পরিকল্পিতভাবে এ সব রটানো হচ্ছে। মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ একে বিজেপির পরিকল্পিত চিত্রনাট্য বলে আখ্যা দিয়েছেন।
সিবিআই সূত্রকে উদ্ধৃত করে এক্স মাধ্যমে (সাবেক টুইটার) সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে সংসদে টাকার বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে সিবিআই অনুসন্ধান শুরু করেছে।
নিয়ম অনুযায়ী, প্রাথমিক অনুসন্ধানের সময় সিবিআই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার বা তল্লাশি অভিযান চালাতে পারবে না। কিন্তু তারা কৃষ্ণনগরের সাংসদের কাছে প্রয়োজনীয় প্রশ্নের জবাব তলব করতে পারে। তাকে প্রশ্নও করতে পারবে সিবিআই।
আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, সিবিআই যে মামলাটির তদন্তভার হাতে নিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের একাংশ দাবি করছে, সেই মামলা করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মহুয়ার জয় অনন্ত দেহাদ্রাই।
তার অভিযোগ ছিল, লোকসভায় প্রশ্ন করার বিনিময়ে মহুয়া শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির কাছে থেকে ঘুষবাবদ নগদ এবং উপহার নিয়েছিলেন। দেহাদ্রাই তার পর একই বিষয়ে লেখেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবেকে।
দুবে সেই অভিযোগ সম্বলিত চিঠি পাঠিয়ে দেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে। বিড়লা বিষয়টি ফয়সালার ভার দেন লোকসভার এথিক্স কমিটিকে। দেহাদ্রাই লোকপালের কাছেও তার অভিযোগ নথিভুক্ত করিয়েছেন।
তদন্তের পরে এথিক্স কমিটি মহুয়ার সাংসদপদ খারিজের সুপারিশ করে লোকসভার স্পিকারের কাছে। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে এ নিয়ে হইচই হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কংগ্রেস, সিপিএম, আরজেডির মতো বিরোধী দলগুলি প্রথম থেকেই মহুয়ার পক্ষে দাঁড়িয়েছে।
মহুয়ার নিজের দল তৃণমূল বুঝেশুনে ধীরে চলোর নীতি নিয়েছিল। তবে দুদিন আগে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম বার প্রকাশ্যে মহুয়ার পাশে দাঁড়ান।