অবশেষে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্দি বিনিময় চুক্তি কার্যকর হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশের ৫ জন করে মোট ১০ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান। বন্দিবিনিময়ের এই সমঝোতায় মধ্যস্থতা করেছে কাতার।
সোমবার দুই ইরানি বন্দিকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দোহা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে আসে একটি বিমান। কিছুক্ষণ পর তেহরান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫ বন্দিকে নিয়ে আরেকটি বিমান অবতরণ করে কাতারের রাজধানীতে।
অপর তিন ইরানি নাগহরিক মুক্ত হলেও ইরানে ফিরছেন না বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খবরে বলা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন যুক্তরাষ্ট্রের থিতু হচ্ছেন। অপরজন তৃতীয় কোনো দেশে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন, আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে থাকার সিদ্ধান্তের কারণে দুই ইরানি নাগরিক স্বদেশে ফিরবেন না।
এ সমঝোতার অংশ হিসেবে আগেই দক্ষিণ কোরিয়ায় ইরানের জব্দ করা ৬০০ কোটি ডলারের সম্পদ অবমুক্ত করা হয়।
এদিন সকাল থেকে কাতারের একটি বিমান ইরানে প্রস্তুত রাখা হয়। মুক্তি পাওয়া পাঁচ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং দুই আত্মীয়কে দোহায় নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে বিমানটির।
সম্প্রতি ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বন্দি বিনিময় শুরু হবে বলে ইঙ্গিত দেয় তেহরান। এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ায় দেশটির জব্দ করা ৬০০ কোটি ডলারের সম্পদের অবমুক্ত করাও কথাও জানানো হয় তাদের পক্ষে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি তখন বলেছিলেন, বন্দি বিনিময় এবং জব্দ করা অর্থ ছাড়ের বিষয়টি আলাদা ইস্যু।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে গত সপ্তাহে বলা হয়, ওই অর্থের বিনিময়ে ইরানে আটক পাঁচজন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিককে মুক্তি দেবে তেহরান। অন্যদিকে একই সংখ্যক ইরানি বন্দিকে মুক্তি দেবে ওয়াশিংটন।
এরই অংশ হিসেবে ইরান গত ১০ আগস্ট তেহরানের এভিন কারাগার থেকে পাঁচ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিককে বের করে স্থানীয় হোটেলে গৃহবন্দি করে রাখে।