বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারত-কানাডা সম্পর্কে চিড়, বাণিজ্য চুক্তি স্থগিত

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২২:৩৪

ভারতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জি-২০ বৈঠকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শিখ ইস্যুতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সমালোচনা করায় কানাডা সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভারতের সঙ্গে বহুল প্রতীক্ষিত বাণিজ্য চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। গত শুক্রবার কোনো কারণ উল্লেখ না করেই এ ঘোষণা দেন দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী ম্যারি নাগের মুখপাত্র শান্তি কসেন্টিনো। আগামী অক্টোবরে ‘বাণিজ্য মিশন’ নামের এই দ্বিপক্ষীয় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জি-২০ বৈঠকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শিখ ইস্যুতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সমালোচনা করায় কানাডা সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কানাডার বাণিজ্যমন্ত্রীর মুখপাত্র শান্তি কসেন্টিনো বলেন, ‘ভারতে আসন্ন বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করছি আমরা।’

এর আগে এই আলোচনা স্থগিতের সম্ভাবনার কথা জানান ভারতের একজন কূটনীতিক।

গত মে মাসে কানাডার বাণিজ্যমন্ত্রী নাগ এবং ভারতের পীযূষ গোয়াল যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে দেশ দুটি আশাবাদী। এ কারণে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে বছরের শেষ নাগাদ উভয় পক্ষ ‘বাণিজ্য মিশনে’ বসত আগ্রহী। তবে শিখদের একটি ইস্যুতে কানাডা পক্ষ নেয়ায় উভয় দেশের সম্পর্কে এখন টানাপড়েন স্পষ্ট।

জি-২০ সম্মেলন থেকেই বিষয়টির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। সেখানে নরেন্দ্র মোদি জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বসেননি। এমনকি দেশে ফেরার উড়োজাহাজে বিভ্রাট দেখা দিলে ভারতে অতিরিক্ত সময় অবস্থান করতে হয় ট্রুডোকে। তার ফেরার সময়ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী বিদায় জানাননি। ফলে তখন থেকে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন ওঠে।

২০১৭ সালের জুনে শিখস ফর জাস্টিস (এসএফজে) নামের একটি সংগঠন পাঞ্জাবের স্বাধীনতার দাবিতে ২০২০ সালে গণভোট আয়োজনের ডাক দিয়েছিল। সংগঠনটির পক্ষ থেকে কানাডা ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এই গণভোটের পক্ষে প্রচারণা চালানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। তবে বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি ভারত।

এছাড়াও ভারতে নিষিদ্ধ খালিস্তানপন্থিদের কানাডায় বিতর্ক কর্মকাণ্ডে দিল্লি-অটোয়ার সম্পর্কের অবনতি ২০২৩ সালে দৃশ্যমান। এই বিতর্ক নতুন করে উসকে দিলেন নরেন্দ্র মোদি। দিল্লিতে সদ্য শেষ হওয়া জি-২০ সম্মেলনের এক ফাঁকে তিনি শিখ ইস্যুতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর সমালোচনা করেন। উভয় সরকারের সম্পর্কে টানাপড়েন প্রকাশ্য হয় তারপরই।

উল্লেখ্য, ষোড়শ শতাব্দীতে দাস হয়ে আটলান্টিক উপকূলে বসতি গড়েছিলেন ভারতীয়রা। কালক্রমে উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডার সবচেয়ে দ্রুত বেড়ে ওঠা সম্প্রদায় হয়ে ওঠে ভারতীয় শিখ সম্প্রদায়। দেশটির সবচেয়ে বড় বিদেশি সম্প্রদায় চায়নিজ-কানাডিয়ানদের পরে ১৩ লাখেরও বেশি শিখদের এই সম্প্রদায় এখন কানাডার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও বেশ প্রভাবশালী। ট্রুডোর মন্ত্রিসভাতেও রয়েছেন শিখ মন্ত্রী। ২০১৭ সালে ভারতের পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ তোলেন, শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে সমর্থন দিচ্ছেন কানাডার মন্ত্রীরা। এরপর বরাবরই এমন অভিযোগ তুলে আসছে মোদি সরকার।

এ বিভাগের আরো খবর