যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ট্র্যাভিস কিং কারাবন্দি রয়েছে বলে জাতিসংঘের কমান্ডকে জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
আমেরিকার সেনাবাহিনীতে প্রাইভেট পদবির ট্র্যাভিস গত ১৮ জুলাই দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্ত দিয়ে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন। এর পরের কয়েক দিন তার বিষয়ে কিছু জানতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ট্র্যাভিস কিংকে বন্দি রাখার বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার জবাব নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেনি জাতিসংঘের কমান্ড।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২৩ বছর বয়সী সেনাকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টায় ব্যাঘাত যাতে না ঘটে, সে জন্য এ নিয়ে বিস্তারিত আলাপ করতে চায় না জাতিসংঘের কমান্ড।
জাতিসংঘের কমান্ডের বক্তব্যে ধারণা করা হচ্ছে ট্র্যাভিসের বিষয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে দরকষাকষিতে রাজি পিয়ংইয়ং।
সীমান্ত অতিক্রম করার আগে হেনস্তার অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ায় দুই মাস কারাভোগ করেন ট্র্যাভিস কিং। ১০ জুলাই কারামুক্ত হন তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়ায় হেনস্তার ঘটনায় ট্র্যাভিসকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা ছিল, কিন্তু তিনি সেটা এড়িয়ে ডিমিলিটারাইজড জোনে (ডিএমজেড) সফরে বের হয়ে উত্তর কোরিয়ায় ঢুকে যান।
নজরদারি বিশেষজ্ঞ ট্র্যাভিস ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে কাজ করছেন। রুটিন দায়িত্বের অংশ হিসেবে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় ছিলেন।
উত্তর কোরিয়ায় ট্র্যাভিস কিংয়ের পরিণতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।
আমেরিকান কলেজছাত্র অটো ওয়ার্মবিয়ারের ঘটনাটি উল্লেখ করে দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ওয়ার্মবিয়ার উত্তর কোরিয়ায় ১৭ মাস বন্দি ছিলেন। ২০১৭ সালে কোমায় থাকা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসার পরপরই তার মৃত্যু হয়।