ভারি বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ফলে ভারত চাল রপ্তানিতে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তারই সুফল পাচ্ছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান। এটা ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশটির জন্য বড় সুযোগও বটে।
পাকিস্তান চাল রপ্তানি অ্যাসোসিয়েশন (আরইএপি) এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আগের চেয়ে আরও বেশি চাল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করতে চায় বলে বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জিও নিউজ।
ভারতের চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা এবং রাশিয়া ও মেক্সিকোর মতো দেশগুলোতে নতুন বাজার তৈরি হওয়ার বিষয়টি পাকিস্তানের জন্য সুফল বয়ে আনবে বলে মনে করছে আরইএপি।
অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান চেলা রাম কেওলানি বলেছেন, ‘বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তান আগের অর্থবছরে ২ দশমিক ১৪ বিলিয়ন মূল্যের ৩ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন চাল রপ্তানি করেছে।
‘ওই অর্থবছরে ভয়াবহ বন্যা, ফসলের ঘাটতি এবং অন্যান্য অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল।’
তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ে শুরু হওয়া অর্থবছরে পাকিস্তান ৩ বিলিয়ন মূল্যের ৫ মিলিয়ন টন চাল রপ্তানির লক্ষ্য অর্জনের বিষয়ে আশাবাদী।’
অ্যাসোসিয়েশন চেয়ারম্যান বলেন, ‘চাল রপ্তানির ওপর ভারতের নিষেধাজ্ঞা বিশ্বব্যাপী চাল বাণিজ্য গতিশীলতার ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। এর মাধ্যমে পাকিস্তান এই চালের ঘাটতি পূরণ করার এবং প্রধান চাল-ক্রয়কারী দেশগুলোতে তার বাজারের অংশীদারিত্ব প্রসারিত করার একটি ভালো সুযোগ পাবে।’
এর আগে গত মাসে বিশ্বের বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত বাসমতী ছাড়া অন্য সব ধরনের চাল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। এ জন্য বর্ষা মৌসুমে ভারি বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় বিষয়টিকে সামনে এনেছে দেশটির সরকার।
ভারতের চাল রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত ২০ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। তবে রপ্তানির উদ্দেশে যেসব প্রক্রিয়া চলমান, তা ৩১ আগস্টের মধ্যে সম্পন্ন করা যাবে।