বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গাজা যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে নেতানিয়াহু সরকারে ভাঙনের আশঙ্কা

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৬ অক্টোবর, ২০২৫ ০০:৫৭

ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থি মন্ত্রীরা গাজায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেছেন। তারা হুমকি দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই প্রস্তাবে রাজি থাকলে সরকার ভেঙে দিতে পারেন। লেবাননের সম্প্রচারমাধ্যম আল–মায়েদিনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।নেতানিয়াহু সরকারের জোট সঙ্গী কট্টর ডানপন্থি ওৎজমা ইয়েহুদিত দলের নেতা ও ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতমার বেন-গভির সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি ট্রাম্পের প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুযায়ী ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার পরও হামাস টিকে থাকে, তাহলে তার দল সরকারের বাইরে চলে যাবে। তার দল নেতানিয়াহুর জোট ছাড়লে সরকারপতনের সম্ভাবনা আছে।বেনগভির স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘সাম্প্রতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আমি এবং ওৎজমা ইয়েহুদিতের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে দিয়েছি, যদি বন্দিদের মুক্তির পরও হামাস নামের সন্ত্রাসী সংগঠন থেকে যায়, তাহলে আমরা সরকারের অংশ থাকব না।’তিনি আরও বলেন, তার দল কোনোভাবেই জাতীয় পরাজয়ের অংশ হবে না। এটা ইসরায়েলের জন্য চিরস্থায়ী লজ্জা এবং ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে। তিনি অবশ্য বলেছেন, তারাও বন্দিদের ঘরে ফেরার পক্ষে। কিন্তু সেই সঙ্গে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ‘যে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসরায়েল রাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয় ডেকে এনেছে, তাদের আবার মাথাচাড়া দেওয়ার সুযোগ আমরা মেনে নিতে পারি না।’অন্যদিকে, নেতানিয়াহুর জোট সরকারের আরেক অংশীদার রিলিয়জিয়াস জায়নিস্ট পার্টি–তকুমার নেতা সরকারের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচও নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ট্রাম্প প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির আলোচনার জন্য গাজায় ইসরায়েলি অভিযান থামানো মোটেই সঠিক সিদ্ধান্ত নয়।স্মতরিচ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত গাজায় অভিযান থামিয়ে আলোচনায় যাওয়া গুরুতর ভুল। প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অংশ নেওয়া, সেটাও যখন গাজা থেকে কোনো হামলা হচ্ছে না—এটা হামাসের জন্য সময়ক্ষেপণের সুযোগ করে দেবে।’তিনি দাবি করেন, এই সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের অবস্থানকে দুর্বল করে দেবে। এর ফলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব বন্দীকে দ্রুত মুক্ত করার দাবি দুর্বল হয়ে যাবে। একই সঙ্গে যুদ্ধের মূল লক্ষ্য হামাসকে নির্মূল করা এবং গাজাকে সম্পূর্ণভাবে নিরস্ত্রীকরণ—সেটিও ব্যাহত হবে।

এ বিভাগের আরো খবর