অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ ভারতের উপকূলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে দেয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানায়।
এ ঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে বাঁচাতে গুজরাটের উপকূলীয় অঞ্চলের ৭৪ হাজারের মতো বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের কারণে গুজরাটের সৌরাষ্ট্র ও কুচ উপকূলে ঘূর্ণিঝড় সতর্কবার্তা (লাল বার্তা) জারি করা হয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, উত্তর-পূর্ব আরব সাগরে অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় গত ৬ ঘণ্টায় আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ভোর সাড়ে ৫টায় একই এলাকায় অবস্থান নেয়।
ওই সময়ে ঘূর্ণিঝড়টি গুজরাটের জাখাউ বন্দর থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, দেবভূমি দোয়ারকা থেকে ২১০ কিলোমিটার পশ্চিমে, নালিয়া থেকে ২১০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, পোরবন্দর থেকে ২৯০ কিলোমিটার পশ্চিম-উত্তরপশ্চিমে এবং পাকিস্তানের করাচি থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ভারতের আবহাওয়া আরও জানায়, ঘূর্ণিঝড়টির অতি প্রবল রূপ নিয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে সৌরাষ্ট্র ও কুচ এবং তৎসংলগ্ন পাকিস্তান উপকূল অতিক্রম করার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে ঘণ্টায় বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ১১৫ থেকে ১২৫ কিলোমিটার, যা দমকা হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় উপকূলীয় বিভিন্ন জেলায় ন্যাশনাল ডিজ্যাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) ১৮টি, স্টেট ডিজ্যাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এসডিআরএফ) ১২টি, রাজ্যের সড়ক ও ভবন অধিদপ্তরের ১১৫টি এবং বিদ্যুৎ অধিদপ্তরের ৩৯৭টি টিম মোতায়েন করা হয়েছে।