থাইল্যান্ডের নির্বাচনে দেশটির প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমূল সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেয়া দলের পক্ষে রায় দিয়েছেন ভোটাররা।
বিবিসির সোমবারের প্রতিবেদনে জানানো হয়, রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের প্রাথমিক ফলে সব পূর্বাভাসকে ভুল প্রমাণ করে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ৫০০ আসনের মধ্যে ১৫০টিতে জিতেছে সংস্কারপন্থি মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি।
থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার নেতৃত্বাধীন ফেউ থাই পার্টির চেয়ে ১০টি আসন বেশি পেয়েছে মুভ ফরোয়ার্ড।
নির্বাচনের এ ফলকে ‘রাজনৈতিক ভূমিকম্প’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, এ ফল জনগণের মতামতের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের স্মারক।
জনগণের রায় সেনা-সমর্থিত দুটি দল এবং প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ওচাকে প্রত্যাখ্যানেরও স্পষ্ট বার্তা। ২০১৪ সালে ওচার নেতৃত্বে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করা হয়।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন জোট মাত্র ১৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
ভোটের ফলের বিষয়ে থাম্মাসাত ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রজাক কংকিরাতি বলেন, বেশির ভাগ ভোটারের রায়ে ‘প্রায়ুত শাসন’ থেকে বের হওয়ার প্রয়োজনীয়তা এবং পরিবর্তনের আকুলতার প্রতিফলন হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এর (ভোট) মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে, জনগণ মুভ ফরোয়ার্ডের পরিবর্তনের দাবির প্রতি আস্থাশীল; প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি মানুষ (এমনটি চায়)।’
থাইল্যান্ডের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো সয়লাব হয়ে গেছে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির সমর্থকদের বিজয়বার্তায়। তারা দলের বিজয়কে ‘পরিবর্তনের বাতাস’ ও ‘নতুন যুগের ঊষালগ্ন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।