থাইল্যান্ডে সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। চলছে ভোট গণনা।
রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ৯৫ হাজার কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, বেলা ৫টায় শেষ হয় ভোট।
প্রাথমিক তথ্যের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, ভোটে এগিয়ে আছে দেশটির নির্বাসিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার কন্যা ও ফেউ থাই পার্টির পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার নেতৃত্বাধীন প্রধান বিরোধী দল।
২০১৪ সালে সর্বশেষ অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী জেনারেল প্রায়ুথ চান-ওচা আরেক মেয়াদে পদে থাকার চেষ্টা করছেন। তবে তিনি দুটি সামরিক বিরোধী দলের কঠোর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে পড়েছেন।
থাকসিন সিনাওয়াত্রার বোন ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান প্রায়ুথ।
দেশটির পাঁচ কোটির বেশি ভোটার সংসদের নিম্নকক্ষের জন্য ৫০০ জন সদস্যকে নির্বাচন করবেন। ভোটারদের মধ্যে ২০ লাখ মানুষ রোববারের আগেই আগাম ভোট দিয়েছেন।
এবারের নির্বাচন থাইল্যান্ডের জনগণের জন্য ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করা হচ্ছে। কেন না, সাম্প্রতিককালে থাইল্যান্ডে বেশ কয়েকটি সেনা অভ্যুত্থান শেষে স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে। এতে সেনাবিরোধী জোটের বিজয়ের সম্ভাবনা দেখছেন বিশ্লেষকরা।
থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৬ সালে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বরাবরের মতো অস্বীকার করে আসছেন, তবু রাজনীতিতে আর ফিরতে পারেননি। ২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্য ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন।
এখন তার কন্যা পেতংতার্ন যেন বাবার সম্মান পুরুদ্ধার করতে লড়াই করছেন। এবার সে সুযোগ আরও জোরালভাবে হাতছানি দিচ্ছে।
বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে আট বছর পর জনগণ দেশের সংকটে সুন্দর সমাধান খুঁজতে যোগ্য রাজনীতির ধারা বেছে নিতে চাচ্ছে।’
এমন ধারণার পেছনে মতামত জরিপকে সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে। যেখানে সাধারণ জনগণ বর্তমান ক্ষমতার পরিবর্তন চাচ্ছে বলে মত দিয়েছে।
মতামত জরিপ অনুযায়ীও ফেউ থাই পার্টি ও মুভ ফরওয়ার্ড পার্টি (এমএফপি) এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু নির্বাচনে বিরোধী দল বিজয়ী হলেও সেনাবাহিনীর ভূমিকা কী হবে, তা ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর প্রভাব প্রবল। গত ২০ বছরে বেশ কয়েকটি অভ্যুত্থানে সরকার পতন ঘটিয়েছে সামরিক বাহিনী। এমনকি এ সময়ে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল অস্তিত্ব হারিয়েছে।