আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) জামিন শুনানি শুরু হয়েছে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের।
স্থানীয় সময় শুক্রবার প্রায় এক ঘণ্টা দেরিতে দুই নম্বর এজলাসে শুনানি শুরু করেন আইএইচসির দুই বিচারক মিয়াগুল হাসান আওরঙ্গজেব ও সামান রাফাত ইমতিয়াজ।
জিও নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরানের গ্রেপ্তারকে ‘বেআইনি’ বলার এক দিন পর তার জামিন আবেদন গ্রহণ করে আইএইচসি।
আদালতকক্ষে জিও নিউজের এক সাংবাদিক ইমরানের কাছে জানতে চান, গ্রেপ্তারের পর তাকে ফোন ব্যবহার করতে দেয়া হয়েছে কি না। জবাবে ইমরান বলেন, ‘ন্যাব (ন্যাশনাল অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি ব্যুরো) কর্মকর্তারা ল্যান্ডলাইনের মাধ্যমে আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার অনুমতি দিয়েছেন।’
ওই সময় জিওর প্রতিবেদক ইমরানকে পাল্টা প্রশ্ন করেন, স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার অনুমোদন পাওয়ার পর তিনি মুসাররাত চিমার সঙ্গে কেন কথা বলেছেন। জবাবে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি ধারণা করতে পেরেছিলেন কি না জানতে চাইলে ইমরান বলেন, ‘শতভাগ নিশ্চিত ছিলাম যে, আমি গ্রেপ্তার হব।’
ওই বক্তব্যের পর পিটিআই প্রধানের পক্ষে মুহুর্মুহু স্লোগান দিতে থাকেন সমর্থকরা। আদালতের কর্মীরা স্লোগান বন্ধের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে বিচারক মিয়াগুল হাসান আওরঙ্গজেব বলেন, এটা ‘অগ্রহণযোগ্য’। এরপর জুমার নামাজের জন্য অল্প কিছুক্ষণ মুলতবি রাখা হয় শুনানি।
এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গাড়িতে করে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আনা হয় ইমরান খানকে। আদালত প্রাঙ্গণে মোতায়েন করা হয় পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর শত শত সদস্যকে।
আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় আইএইচসি প্রাঙ্গণ থেকে গত ৯ মে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করেন আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। গ্রেপ্তারের পরপরই আদালতে জামিনের আবেদন করেন ইমরান, তবে আদালত তার গ্রেপ্তারকে বৈধ ঘোষণা করে।