পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে চার থেকে পাঁচ দিন ন্যাশনাল অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) হেফাজতে রাখা হতে পারে।
এ জন্য ব্যুরোর পক্ষ থেকে বুধবার আদালতে আবেদন করা হবে।
এনএবির একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার ডন এ খবর প্রকাশ করেছে।
দেশটির আধা-সামরিক বাহিনীর সহায়তায় মঙ্গলবার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আদালত চত্বর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এনএবির সংশোধিত আইন অনুযায়ী হেফাজতে থাকা কোনো ব্যক্তির শারীরিক রিমান্ড ৯০ দিন থেকে কমিয়ে ১৪ দিন করা হয়েছে।
সূত্রের ভাষ্য, ‘ইমরানের ১৪ দিন শারীরিক রিমান্ডের জন্য ব্যুরোর পক্ষ থেকে আদালতে আবেদন করা হবে। আশা করা হচ্ছে, কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করা হবে।’
ইমরান খানের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে সূত্রটি জানায়, তিনি এনএবির রাওয়ালপিন্ডি বা ইসলামাবাদের আঞ্চলিক সদরদপ্তরে স্বস্তিদায়ক পরিবেশে আটক রয়েছেন। তার সঙ্গে কঠোর আচরণ করা হবে না। ব্যুরো কেবল মামলার স্বার্থে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
এদিকে ইমরান খানের গ্রেপ্তার আইন মেনে হয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইমরান খানকে আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যায়ভাবে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের অভিযোগে যথাযথ আইন মেনে তদন্ত শেষে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সব অভিযোগ ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অস্বীকার করে আসছেন ইমরান খান। তার পাল্টা অভিযোগ, তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পাকিস্তানের অন্য সব রাজনৈতিক দলগুলো দেশটির সেনাপ্রধানের সঙ্গে জোট বেঁধেছে।
ক্ষমতা থেকে সরাতে যুক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে বলেও দাবি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর।