শরীয়তপুর সদর উপজেলায় ছুটিতে গ্ৰামের বাড়িতে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক পোশাক শ্রমিক।
শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করার পর স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজান ঢালীসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন-২৪ বছর বয়সী জুয়েল ফরাজী, ১৮ বছর বয়সী সুমন বয়াতি, রুদ্রকর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ৪৫ বছরের মিজান ঢালী, ৩৮ বছরের ইয়াছিন বয়াতী, ৩০ বছর বয়সী সাহিন সরদার, ৩৩ বছর বয়সী খোকন সরদার ও ২৬ বছরের মো. রাসেল সরদার।
পুলিশের ভাষ্য, শুক্রবার রাতে বাড়ির আঙিনায় বান্ধবীর সঙ্গে মোবাইলে ভিডিও দেখছিলেন ওই নারী। এসময় সহযোগীদের নিয়ে স্থানীয় জুয়েল ফরাজী ও সুমন বয়াতি ওই দুই নারীকে তুলে নিয়ে যান। পরে জুয়েলের বোনের বাড়ির একটি কক্ষে আটকে রেখে ভুক্তভোগী পোশাক শ্রমিককে শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করেন জুয়েল ও সুমন।
এসময় অন্য সহযোগীরা নির্যাতনের দৃশ্য ভিডিও করেন বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
এসময় তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে মিজান ঢালীর সহায়তায় পালিয়ে যান জুয়েল ও তার সহযোগীরা।
পরে পরিবারের সদস্যরা ৯৯৯-এ ফোন করলে ওই দুই নারীকে উদ্ধার করে পালং মডেল থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘আত্মীয়ের বিয়ে খেতে বান্ধবীকে নিয়ে ঢাকা থেকে গ্রামে এসেছিলাম। শুক্রবার রাতে বাড়ির উঠানে মোবাইল ফোন চালাচ্ছিলাম। হঠাৎ পেছন থেকে ওড়না দিয়ে মুখ ঢেকে কারা যেন আমাকে তুলে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর আমার বান্ধবীকেও তুলে আনা হয়।
‘মুখের কাপড় সরিয়ে নিলে দেখতে পাই আমাদের একটি কক্ষে নিয়ে আসা হয়েছে। তখন জুয়েল ও সুমনসহ বাকিদের চিনতে পারি। আমার বান্ধবীকে পাশের রুমে আটকে রেখে আমাকে বাথরুমে নিয়ে জুয়েল ও সুমন নির্যাতন করে। এসময় অন্যরা মোবাইলে নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করছিল।’
কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, ‘আমি তাদের পায়ে ধরে মিনতি করেছি। কিন্তু তারা আমার কথা শোনেনি। আমাকে জোর করে নেশা জাতীয় কিছু খাওয়ালে অজ্ঞান হয়ে পড়ি। পরে আর কিছু মনে নেই।’
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ওই তরুণী ও তার স্বজনদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ’