ব্যবসায় ক্ষতির কথা উল্লেখ করে দায়িত্বের শেষ বছর ২০২০ সালে আয়কর দেননি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস প্যানেল থেকে প্রকাশিত করসংক্রান্ত নথির বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
নথিটি স্থানীয় সময় মঙ্গলবার প্রকাশ করে ডেমোক্রেটিক নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের ওয়েস অ্যান্ড মিন্স কমিটি। ট্রাম্পের করসংক্রান্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশের জন্য এ কমিটি গত এক বছর থেকে লড়াই চালিয়ে আসছে।
নথি বলা হয়, ক্ষমতায় থাকার সময় ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া কিছু কর দিলেও আয়কর কম দেন। কারণ হিসেবে ব্যবসায় ক্ষতির কথা উল্লেখ করেন ট্রাম্প।
কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের ওয়েস অ্যান্ড মিন্স কমিটি ট্রাম্পের আয়কর কমে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
ক্ষমতায় থাকাকালীন প্রকাশ্যে আয়কর রিটার্ন প্রকাশ করতে চাননি ট্রাম্প। তার আয়কর রিটার্নের রেকর্ড ওয়েস অ্যান্ড মিন্স কমিটি পেয়েছে। এটি প্রকাশের জন্য স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোটাভুটি হয়।
ট্রাম্পের মুখপাত্র এ নথিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দিয়েছেন।
ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের মুখপাত্র স্টেভেন চেউং বলেন, ‘ট্রাম্পের সঙ্গে যদি এই অবিচার হয়, তাহলে এমন সব আমেরিকানদের সঙ্গে ঘটতে পারে।’যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের ইন্টার্নাল রেভিনিউ সার্ভিস (আইআরএস) প্রতি বছর প্রেসিডেন্টদের আয়কর রিটার্ন অডিট করে থাকে, তবে ২০১৯ সালে ডেমোক্র্যাটরা এ নিয়ে চাপ প্রয়োগের আগ পর্যন্ত ট্রাম্পের আয়কর রিটার্ন অডিট করেনি সংস্থাটি।
অভিযোগ রয়েছে, আইআরএস বেশিরভাগ সময় অডিটের জন্য শুধু একজন এজেন্টকে নিয়োগ করেছে। তারা ট্রাম্পের দাবি যাচাই করে দেখেনি।
এ নিয়ে আইআরএসের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার আগেই ট্রাম্প তার ব্যবসায় প্রচুর লোকসান হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন। ক্ষমতা নেয়ার পরও ট্রাম্পের লোকসানের এ ধারা চলতে থাকে।
সেই সময়ে ট্রাম্প ও তার স্ত্রী স্ব-কর্মসংস্থান এবং পারিবারিক কর্মসংস্থানের জন্য চার বছরে ৩ কোটি ডলার কর দেন।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৮ সালে ট্রাম্পের আয় ছিল ২ কোটি ৪৩ লাখ ডলার। ওই বছর তিনি ১০ লাখ ডলার আয়কর দেন।
২০১৯ সালের ট্রাম্পের আয় ছিল ৪৪ লাখ ডলার । ওই সময় তিনি এক লাখ ৩৪ হাজার ডলার আয়কর দেন।
২০২০ সালে ৪৮ লাখ ডলারের লোকসান দেখিয়ে কোনো আয়করই দেননি ট্রাম্প।