পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির ২০ জনের নতুন কোর কমিটিতে জায়গা না পেয়ে একাধিক বিজেপি নেতা প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ রাঢ়বঙ্গের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার।
রাজ্যের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন মাথায় রেখে ২০ জনের একটি কোর কমিটি গঠন করে দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এতে কয়েকজন পুরোনো নেতাকে বাদ দিয়ে কিছু নতুন মুখ নেয়া হয়েছে। আর তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিজেপিতে গন্ডগোল।
সোমবার নতুন কোর কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সেখানে মিঠুন চক্রবর্তী, রাহুল সিনহা, অগ্নিমিত্রা পালের মতো নেতারা যেমন স্থান পেয়েছেন, তেমনিই বাদ পড়েছেন সৌমিত্র খাঁ, জগন্নাথ সরকার, সায়ন্তন বসুর মতো নেতারা।
বিজেপির নতুন কোর কমিটি থেকে বাদ পড়ায় বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এতটাই ক্ষুব্ধ যে রাঢ়বঙ্গের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। ইস্তফা দেয়ার পর বুধবার সৌমিত্র একটি ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘অযোগ্যদের মাথায় রেখে রাজনীতি করা কঠিন। যে দুজন নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা ২০১৯-এর আগে রাজনীতি করেছেন বলে জানা নেই।’
নাম উল্লেখ না করে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ট্রেনি সভাপতি বলে কটাক্ষ করেছেন সৌমিত্র। যদিও বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ ও রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসা করেছেন তিনি।
এদিকে বিজেপির কোর কমিটি নিয়ে সৌমিত্র খাঁর ফেসবুক পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন, ‘সুকান্তবাবু আবার চা খেতে ডাকবেন আর যিনি সমালোচনা করছেন তিনি সেখানে যাবেন। আসলে এসব ব্যক্তিগত সমীকরণ। ডাক পেলে ভালো, না পেলে খারাপ। এদের কথার কোনো গুরুত্ব নেই।’
নদিয়ার রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগরনাথ সরকার কোর কমিটি থেকে বাদ পড়ার পর বলেন, ‘আমি তো কাউকে তেল দিই না। তাই আমি আর ওসব নিয়ে ভাবছি না। আমাকে কোথায় রাখা হলো... কী হলো না, তা নিয়ে ভাবি না।’
কোর কমিটি থেকে বাদ পড়া নেতাদের ক্ষোভের বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।