বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভালো ব্যবহার করে ছাড়া পেয়েছে বিলকিস বানোর ধর্ষকরা, দাবি আইনজীবীর

  •    
  • ১৮ অক্টোবর, ২০২২ ১১:১১

ভারতের গুজরাটে ২০০২ সালে অপরাধীরা শুধু বিলকিস বানোকে ধর্ষণই করেনি, শিশুকন্যাসহ হত্যা করে তার পরিবারের ৭ জনকে। অথচ জেলে ভালো আচরণের কথা বলে সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অপরাধী ১১ জনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর (সিবিআই) তীব্র আপত্তির পরও বিলকিস বানোকে ধর্ষণ ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যায় জড়িত যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ১১ জনকে মুক্তি দেয়া হয়েছিল। দোষীদের মুক্তির বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা করা হয়। আজ সেই মামলার শুনানি হবে।

এর আগে সোমবার ১১ জনের মুক্তির বিষয়ে আদালতে দেয়া হলফনামায় গুজরাট সরকারের আইনজীবী জানান, দোষী ১১ জন ১৪ বছর ধরে জেল খেটেছেন। জেলে তাদের আচরণ ভালো হওয়ায় কেন্দ্র তাদের মুক্তি অনুমোদন করেছে।

২০০২ সালে ভারতের গুজরাটে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সময় বিলকিস বানো সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। তিনি তখন অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। সে সময় তার শিশুকন্যাসহ পরিবারের ৭ সদস্যকে হত্যা করা হয় এবং ৬ জন সদস্য পালিয়ে বাঁচতে সক্ষম হন।

২০০৮ সালে বিলকিস বানো সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ১১ জন ধর্ষককে বিরলতম অপরাধের জন্য মুম্বাইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি দেয়। ভারতের সুপ্রিম কোর্টও সেই রায় বহাল রাখে।

শাস্তির মেয়াদ ১৪ বছর অতিক্রান্ত হলে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনের একজন সুপ্রিম কোর্টে মুক্তির আবেদন জানান। সুপ্রিম কোর্ট গুজরাট সরকারকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেয়ার নির্দেশ দেয়। গুজরাট সরকারের গড়ে দেয়া ৪ সদস্যের কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার উৎসবের দিনে বিলকিস বানো ধর্ষণ মামলার অপরাধীদের শাস্তির মেয়াদ শেষের আগে মুক্তি দেয় গুজরাট সরকার।

গোধরা জেল থেকে ১১ জন কুখ্যাত অপরাধী বেরিয়ে এলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে তাদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। মিষ্টি বিতরণ করা হয়, যা নিয়ে ভারতজুড়ে সমালোচনা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

গুজরাট সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে ৬ হাজারেরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে। আবেদনকারীর তালিকায় রয়েছেন সমাজের সব শ্রেণির মানুষ। তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র, সিপিএমের সুভাষিনী আলী এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থে মামলা করেছেন। মোট ৩টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে।

আদালত অপরাধীদের সাজা কমানোর বিষয়টি দেখতে বলেছিল গুজরাট সরকারকে, সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তি দিতে বলেনি বলে জানিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি এন ভি রমনা।

এ বিভাগের আরো খবর