মল্লিকার্জুন খারগে ও শশী থারুর মধ্যে একজন হাল ধরবেন ভারতের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের। কিছুক্ষণের মধ্যে শুরু হচ্ছে ভোটগ্রহণ। গত ২০ বছরের মধ্যে এই প্রথম গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ সভাপতি নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। গান্ধীর পরিবারের কেউ নির্বাচন না করলেও মল্লিকার্জুন খারগেকে তাদের মনোনীত প্রার্থী হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
যদিও শশী থারুর ও মল্লিকার্জুন খারগে উভয়েই নির্বাচনের বিষয়ে গান্ধী পরিবারের হস্তক্ষেপ নাই বললেও কিছু ক্ষেত্রে পক্ষপাতের মতো বিষয়ের অভিযোগ তুলেছেন শশী থারুর।
থারুর দাবি করেন, যখন তিনি প্রচারের উদ্দেশ্যে রাজ্যগুলো পরিদর্শন করেছিলেন তখন রাজ্যের কংগ্রেস প্রধানদের কাছে উপেক্ষিত ছিলেন। কিন্তু অনেক জায়গায় খারগে গেলে তাকে রাজ্য কংগ্রেসগুলোর প্রধান ও বিধানসভার দল স্বাগত জানায়।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি অভিযোগ করছি না, কিন্তু আপনি মূল্যায়নের পার্থক্যটা কি দেখতে পারছেন না?’
এদিকে মল্লিকার্জুন খারগে ঘোষণা করেছেন যে তিনি সম্মিলিত সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিশ্বাস করেন এবং গান্ধী পরিবারের নির্দেশনা তিনি গ্রহণ করবেন।
খারগে বলেন, ‘তারা (গান্ধী পরিবার) এই দেশের জন্য ভালো করেছেন। তাদের পরামর্শে দলের উপকার হবে- তাই আমি অবশ্যই তাদের পরামর্শ ও সমর্থন চাইব। এতে লজ্জার কিছু নাই।’
কংগ্রেসের ১৩৭ বছরের ইতিহাসে আজ এই নিয়ে ষষ্ঠবার সভাপতি নির্বাচন হচ্ছে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোট।
ভারতের প্রতিটি রাজ্যে প্রদেশ কংগ্রেস দপ্তর এবং রাজধানী দিল্লিতে এআইসিসির অফিসে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা থাকবে। ৯ হাজারের বেশি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রতিনিধি গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেবেন।
১৮ অক্টোবর প্রতিটি রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস দপ্তর থেকে ব্যালট বক্স যাবে দিল্লির এআইসিসির দপ্তরে। সেখানে সোনিয়া গান্ধী ও মনমোহন সিংসহ ৫০ জনের বেশি কংগ্রেস কর্মী ভোট দেবেন। আগামীকাল (মঙ্গলবার) গণনার পর ফল প্রকাশ হবে।
এর আগে ২০১৭ সালে রাহুল গান্ধী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।