ইরানের রাজধানী তেহরানের এভিন কারাগারে শনিবার গভীর রাতে বন্দি ও কারারক্ষীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ফলে কারাগারটিতে আগুন লেগে যায়।
আল আরাবিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাদ দিয়ে এমনিটাই জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ।
কারাগারের যে অংশে ভয়ংকর অপরাধীদের রাখা রাখা হতো সেখানেই সংঘর্ষের সূত্রপাত।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে কারাগারের ভেতরে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। কারা কর্মকর্তারা এই অগ্নিকাণ্ডের জন্য বন্দিদেরই দায়ী করছেন।
তবে একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং কারাগারে শান্তি বজায় রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ করছেন।’
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে অগ্নিকাণ্ডের পাশাপাশি গুলির শব্দ ও সরকারবিরোধী স্লোগানও শোনা গেছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে বলেন, ‘ইভিন কারাগারের দিকে যাওয়া রাস্তাগুলো যান চলাচলের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এখানে প্রচুর অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। আমরা গুলির শব্দ শুনতে পাচ্ছি।’
অন্য একজন প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি আগুন ও ধোঁয়া দেখেছি। প্রচুর বিশেষ বাহিনী (নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য)। অ্যাম্বুলেন্সও এখানে আছে।'
এভিন কারাগারে অনেক রাজনৈতিক কর্মী, সাংবাদিক এবং দ্বৈত ও বিদেশি নাগরিককে আটক করে রাখা হয়েছে। বন্দিদের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অ্যাকটিভিস্টরা।
নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় চলমান বিক্ষোভের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক আছে কি না তা স্পষ্ট নয়।
তবে ভিডিওগুলোতে সরকারবিরোধী স্লোগান শোনা গেছে এবং কারাগারটিতে অনেক সরকারবিরোধীকে আটক রাখা হয়েছে।