ভূগর্ভস্থ প্ল্যান্টে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির আধুনিকায়নে আরও সামর্থ্য বাড়াচ্ছে ইরান।
পারমাণবিক কর্মসূচি পর্যবেক্ষণকারী জাতিসংঘের সংস্থা আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এ তথ্য দিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।
২০১৫-র ইরান পরমাণু চুক্তি নিয়ে যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির পরোক্ষ যোগাযোগ বন্ধ- এমন সময় এলো এই খবর।
নাতাঞ্জের ভূগর্ভস্থ ফুয়েল এনরিচমেন্ট প্ল্যান্টে (এফইপি) আর-৬ সেন্ট্রিফিউজের তিনটি ক্যাসকেডের সমৃদ্ধকরণের কাজ শেষ হয়েছে সম্প্রতি।
অন্য যেকোনো সময়ের যন্ত্রপাতির তুলনায় এতে ব্যবহার হয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। এতে রয়েছে অস্ত্র বানাতে প্রয়োজনীয় মাত্রার ইউরেনিয়ামের কাছাকাছি উপাদান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালে হওয়া পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করা নিয়ে বেশ অনেকটাই এগিয়ে ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি শিথিল করার বিনিময়ে তাদের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার কথা ছিল। তবে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করলে শর্ত ভাঙতে থাকে ইরান।
নাতাঞ্জ ও ফোরডোর মতো ভূগর্ভস্থ স্থাপনা ইরান পরমাণু বোমা বানানোর জন্য ব্যবহার করতে পারে বলে পশ্চিমা দেশগুলো দাবি তুললেও দেশটি বলছে, তারা সে পথে হাঁটবে না।