বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২০ বছর যুদ্ধের পর সেই আফগানিস্তানেই অর্থ সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

  •    
  • ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৩:৪৮

তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ২০০১ সালে যে আফগানিস্তানে হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন, এত বছর পর এসে সে দেশে ৩২৭ মিলিয়ন ডলার নিয়ে যাচ্ছে জো বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

বহু বছর ধরে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চালিয়ে এখন সেই আফগানিস্তানেই বড় অঙ্কের অর্থ সহায়তা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ‘পুরোনো বন্ধু ও শত্রু’ তালেবান সরকারের সঙ্গে এর মাধ্যমে সম্পর্কের নতুন রসায়ন শুরু হচ্ছে দেশটির।

তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ২০০১ সালে যে আফগানিস্তানে হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন, এত বছর পর এসে সে দেশে ৩২৭ মিলিয়ন ডলার নিয়ে যাচ্ছে জো বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

স্থানীয় সময় শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে আফগান নাগরিকদের জন্য এই অর্থ সহায়তার ঘোষণা দেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স

দীর্ঘ দুই দশকের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করে শেষ পর্যন্ত গত বছরের ৩১ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে নিজেদের শেষ সৈন্য ও কূটনীতিককে কাবুল থেকে তুলে নিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র।

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন টুইটারে লিখেছেন, ‘মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে প্রায় ৩২৭ মিলিয়ন ডলার অর্থ পাঠাচ্ছে। জরুরি সহায়তা ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে এই অর্থ দেয়া হচ্ছে। আফগান জনগণের সঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করছি আমরা।’

জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসী বিভাগের মাধ্যমে ১১৯ মিলিয়ন ডলার এবং মানবিক সহায়তা বিভাগের মাধ্যমে ২০৮ ডলার দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে।

বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের এই অর্থ আফগানিস্তানের জনগণের জন্য ব্যয় হবে। নগদ অর্থ, আবাস নির্মাণ, স্বাস্থ্যসেবা, মানসিক স্বাস্থ্য, বাস্তুচ্যুতদের সহায়তা ও নারীর ওপর সহিংসতা রোধে কাজে লাগানো হবে। এই অর্থের কিছু অংশ আফগানিস্তানের প্রতিবেশী পাকিস্তানেও সহায়তা হিসেবে ব্যয় হবে বলে জানানো হয় এতে।

এর আগে আফগানিস্তানে ফ্রিজ হওয়া অর্থ দেশটিকে নতুন করে গড়ে তুলতে ব্যবহার করা হবে বলে গত ১৪ সেপ্টেম্বর জানায় যুক্তরাষ্ট্র।

গত বছরের ১৫ আগস্ট আশরাফ গনিকে হটিয়ে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় বসে তালেবান। এই তালেবানের সঙ্গে একসময় বৈরী সম্পর্কেই দেশটিতে হামলা শুরু করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।

বিবিসি বলছে, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আল-কায়েদার সন্ত্রাসীরা চারটি বিমান ছিনতাই করে। দুটি বিমান দিয়ে আঘাত করা হয় নিউ ইয়র্কের বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রের টুইন টাওয়ারে, একটি আঘাত করে ওয়াশিংটনের পেন্টাগনে, আরেকটি বিধ্বস্ত হয় একটি মাঠে।যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ আফগানিস্তানের তখনকার শাসক তালেবানের কাছে ওই হামলার জন্য দায়ী করে আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে চান। তালেবান তাকে দিতে অস্বীকার করায় অপারেশন এন্ডুরিং ফ্রিডম শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।

আফগানিস্তান ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র গত কয়েক বছরে বিশেষ করে ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর আরো কয়েকটি দেশে যুদ্ধ করতে গেছে। এতে একদিকে যেমন সামরিক অভিযানের ব্যাপারটি ব্যয়বহুল, অন্যদিকে বহু সৈন্যকেও এসব যুদ্ধে প্রাণ দিতে হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, শুধু আফগানিস্তান যুদ্ধেই দেশটির খরচ হয়েছে কয়েক হাজার কোটি ডলার। নিহত হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৫০০ মার্কিন সৈন্য।

অবশেষে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তার শাসনামলে যুদ্ধকবলিত বিভিন্ন দেশ থেকে সৈন্যদের ফিরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং এ বিষয়ে আফগানিস্তানের তালেবানের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছান।

এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে ‘বন্ধু হয়ে ওঠা’ আফগানিস্তান থেকে গত বছর সেনা প্রত্যাহার করে যুক্তরাষ্ট্র। এবার দেয়া হচ্ছে আর্থিক সহায়তাও।

এ বিভাগের আরো খবর