পূর্ব ইউরোপের শহর ইজিউম। এখানকার একটি পাইন বন থেকে আসা দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। এই বনেই মিলেছে একটি গণকবর। খবর পেয়ে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ মাটি খুঁড়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করা শুরু করে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলার দুই মাস পর এপ্রিলে ইজিয়াম দখলে নেয় রুশ সেনারা। শহরটিকে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করেছিল তারা। কদিন আগে শহরটি মুক্ত করে কিয়েভ বাহিনী।
ইউক্রেনীয় পুলিশ বলছে, ওই স্থানে ৪৪৫টি নতুন কবর রয়েছে। তবে কিছুতে একাধিক লাশ রয়েছে। এরা কীভাবে মারা গেছে, তা স্পষ্ট নয়। তাদের মধ্যে অনেক বেসামরিক নাগরিক, নারী ও শিশু রয়েছে।
খারকিভের আঞ্চলিক প্রসিকিউটর ওলেক্সান্ডার ইলিয়েনকভ বলেন, ‘এখানে যে যুদ্ধাপরাধ হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। প্রথম কবরে একজন বেসামরিক নাগরিক আছেন, যার গলায় দড়ি রয়েছে। এগুলো নির্যাতনের চিহ্ন ছাড়া আর কি?’
নীল প্লাস্টিকের আবরণ পরা শতাধিক ইউক্রেনীয় জরুরি পরিষেবাকর্মী অস্থায়ী কবরগুলো খুঁড়ছেন। তারা মৃত্যুর কারণগুলো জানার চেষ্টা করছেন।
পুলিশ এবং প্রসিকিউটরদের উপস্থিতিতে খবর খোঁড়ার কাজ চলছে নীরবে। পাশে এক কর্মকর্তা মাথায় হাত দিয়ে বসে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘রুশ সেনাদের কারণে প্রায় সবাই মারা গেছেন। যারা বেঁচে ছিলেন তারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অনেকে আবার রাশিয়ান ফেডারেশনের বিমান ও কামান হামলায় মারা পড়েছেন।’
প্রসিকিউটররা বলছেন, কেউ কেউ রাশিয়ান গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন। অন্যরা মার্চে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে চালানো বিমান হামলার শিকার হয়েছেন, ওই হামলায় ৪৭ জন নিহত হয়েছিলেন।