ভারতের উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরি জেলায় দলিত সম্প্রদায়ের দুই কিশোরী বোনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের পর খুনের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরে গাছে ঝোলানো অবস্থায় পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
মেয়ে দুটির বয়স ১৫ ও ১৭ বছর।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চারজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
কিশোরীদের মা জানান, তার দুই মেয়েকে মোটরসাইকেলে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তিনি বাধা দিলে তাকে মারধর করা হয়। এরপর দুই মেয়ের মরদেহ গাছের সঙ্গে ঝোলানো অবস্থায় পান তিনি।
দুই মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ এনেছেন। চারজনের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের মামলাও করা হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে লখিমপুর খেরি এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
লক্ষ্মৌ রেঞ্জের পুলিশ অফিসার লক্ষ্মী সিং বলেন, ‘ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে গাছের সঙ্গে ঝোলানো অবস্থায় দুই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল তৈরি করা হয়েছে। মামলা হয়েছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’
দুই দলিত কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক নেতারা। বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব উত্তর প্রদেশ সরকারপ্রধান যোগী আদিত্যনাথের সমালোচনা করেছেন।
এ ঘটনায় কংগ্রেস নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেছেন, দুই বোনের মৃত্যু চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে রাজ্য আইন-শৃঙ্খলার কোনো উন্নয়ন হয়নি। যোগী সরকার নারীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।