বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ অধ্যায়ের অবসান

  •    
  • ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২৩:৪০

লন্ডন সময় বৃহস্পতিবার সকালে রানির স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা উদ্বেগ জানান। তখন তারা রানিকে তত্ত্বাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এরপর আসতে থাকে রাজপরিবারের সদস্যদের স্কটল্যান্ড ছুটে যাওয়ার খবর। সন্ধ্যায় তার মৃত্যুর খবর জানায় বাকিংহ্যাম প্যালেস।

গ্রেট ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা গেছেন। স্কটল্যান্ডের বালমোরাল দুর্গে ৯৬ বছর বয়সে মৃত্যু হয় রানির। বাকিংহ্যাম প্যালেস বিষয়টি নিশ্চিত করেছে

রানির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ব্রিটেনের সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা রানি দ্বিতীয় এলিভাবেথ স্কটল্যান্ডের বালমোরাল দুর্গে গ্রীষ্মকালীন অবকাশ কাটাচ্ছিলেন। সেখানে তিনি ভালোই ছিলেন।

লন্ডন সময় বৃহস্পতিবার সকালে রানির স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা উদ্বেগ জানান। তখন তারা রানিকে তত্ত্বাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এরপর আসতে থাকে রাজপরিবারের সদস্যদের স্কটল্যান্ড ছুটে যাওয়ার খবর। সন্ধ্যায় তার মৃত্যুর খবর জানায় বাকিংহ্যাম প্যালেস।

সংবাদমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম- সবখানেই বহুল আলোচিত এবং জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন এলিজাবেথ। ৭০ বছরের শাসনামলে ১৫ জনকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দিয়ে অনন্য এক রেকর্ড গড়েছেন তিনি।

বয়সটা নব্বইয়ের ঘরে হলেও, সদা হাস্যোজ্জ্বল ছিলেন এলিজাবেথ। তার আরচণে গম্ভীর্যতা থাকলেও কোথাও যেন চিরতরুণীর আবহ খুঁজে পাওয়া যেত; যেন বার্ধ্যক্য সে অর্থে ছুঁতেই পারেনি তাকে।

লন্ডনের মেফেয়ারে ইয়র্কের ডিউক এবং ডাচেস (পরে রাজা জর্জ এবং রানি এলিজাবেথ)-এর প্রথম সন্তান এলিজাবেথ আলেকজান্ড্রা ম্যারি। সময়টা ১৯২৬ সালের ২১ এপ্রিল।

তার বাবা ১৯৩৬ সালে নিজের ভাই রাজা অষ্টম এডওয়ার্ডের পর সিংহাসনে বসেন। তখন থেকেই সিংহাসনের উত্তরাধিকারী ছিলেন ১০ বছরের এলিজাবেথ।

১৭ বছরের অপেক্ষায় অবসান ঘটে ১৯৫৩ সালে। এ বছরের ২ জুন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মুকুট মাথায় নেন ২৭ বছরের এলিজাবেথ। তবে এক বছর আগে ১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাজা জর্জ মারা গেলে, সেদিনই রানি হন এলিজাবেথ।

প্রাসাদেই ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষিত হয়েছিলেন এলিজাবেথ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর নারী বিভাগ-অগজিলিয়ারি টেরটোরিয়াল সার্ভিসে যোগদান করে জনসাধারণের দায়িত্ব পালন শুরু করেছিলেন তিনি।

১৯৪৭ সালে গ্রিস ও ডেনমার্কের সাবেক প্রিন্স ডিউক অফ এডিনবরা ফিলিপকে বিয়ে করেন এলিজাবেথ। এই দম্পতির চার সন্তান; ওয়েলসের প্রিন্স চার্লস, প্রিন্সেন অ্যান, ইয়র্কের ডিউক প্রিন্স অ্যান্ড্রু এবং ওয়েসেক্সের আর্ল প্রিন্স এডওয়ার্ড।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা এই ব্রিটিশ শাসক প্রায়শই প্রজাতন্ত্রের অনুভূতি এবং রাজপরিবারের চাপে সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন। ১৯৯৭ সালে পুত্রবধূ ডায়ানার মৃত্যুর পর, ব্যাপক সমালোচিত হন এলিজাবেথ।

গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে থাকা রানির শারিরীক জটিলতার কথা প্রকাশ পায় সোমবার।

বাকিংহ্যাম প্যালেস থেকে জানানো হয়, চলাচলে সমস্যায় ভোগায় নতুন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগ দিতে লন্ডনে ফিরতে পারবেন না রানি। এ কারণে রানির ৭০ বছরের শাসনামলে প্রথম স্কটল্যান্ড থেকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেয়া হয় লিজ ট্রাসকে।

এর দু’দিন পর বৃহস্পতিবার গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠক বাতিল করেন রানি। জানানো হয়েছিল, রানির শারীরিক অবস্থা গুরুতর। চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে আছেন তিনি। এদিন সন্ধ্যায় রানির মৃত্যুর খবরটি আসে বাকিংহ্যাম প্যালেস থেকে।

এ বিভাগের আরো খবর