বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারতের রকেট ভুল ঠিকানায়

  •    
  • ৭ আগস্ট, ২০২২ ১৯:৩০

অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটায় সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্রের লঞ্চ প্যাড থেকে রোববার সকালে রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এর ৬ ঘণ্টা পরই কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে যে রকেটটি বৃত্তাকার কক্ষপথের পরিবর্তে উপবৃত্তাকার কক্ষপথে উপগ্রহগুলো স্থাপন করায় সেগুলো আর ব্যবহারযোগ্য নয়।

ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) একটি নতুন রকেট (এসএসএলভি) উৎক্ষেপণ করেছে। অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটায় সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্রের লঞ্চ প্যাড থেকে রোববার সকালে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়। তবে অভিযানটি সফল হয়নি।

উৎক্ষেপণের ৬ ঘণ্টা পরই ইসরো কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে যে ‘এসএসএলভি-ডি ১’ তাদের বৃত্তাকার কক্ষপথের পরিবর্তে উপবৃত্তাকার কক্ষপথে স্থাপন করায় উপগ্রহগুলো আর ব্যবহারযোগ্য নয়।

‘ইওএস ০২’ এবং ‘আজাদীস্যাট’ স্যাটেলাইটগুলোও এই ছোট স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেলে পাঠানো হয়েছিল। সফল উৎক্ষেপণ শেষে উভয় উপগ্রহকে তাদের নির্ধারিত কক্ষপথে আনার পর রকেটটি আলাদা হয়ে যায়। এরপর মিশন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রগুলোতে উপগ্রহ থেকে তথ্য পাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য প্রকল্পটি হুমকির মুখে পড়েছে।

প্রাথমিক পর্বে ইসরো প্রধান এস. সোমনাথ বলেন, ‘মিশন কন্ট্রোল সেন্টার ইসরো ক্রমাগত ডেটা লিঙ্ক পাওয়ার চেষ্টা করছে। লিংক স্থাপিত হলেই আমরা জানাব।’

স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে ৭৫০ জন স্কুল ছাত্র-ছাত্রী দ্বারা ‘আজাদিস্যাট’ তৈরি করা হয়েছে। শ্রীহরিকোটার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে ‘এসএসএলভি ডি ১’ উৎক্ষেপণের সময় স্যাটেলাইটটির নকশা করা শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

রোববার বিকেল ৩টার দিকে ইসরো এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, এই মিশনের যে লক্ষ্য ছিল তা আর পূরণ করা সম্ভব হবে না। একাধিক টুইট করে এ বিষয়ে বার্তা দিয়েছে ভারতের এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

‘এসএসএলভি-ডি ১’ রকেটটি ৩৫৬ কিলোমিটার সার্কুলার কক্ষপথের পরিবর্তে ৩৫৬ কিলোমিটার x ৭৬ কিলোমিটার এলিপ্টিক্যাল কক্ষপথে পৌঁছে দিয়েছে স্যাটেলাইটগুলোকে। সেগুলো আর ব্যবহার করা যাবে না। সেন্সরের ব্যর্থতা ধরতে না পেরে উদ্ধার অভিযান চালানোর জন্যই এই কক্ষচ্যুতি ঘটেছে।

ইসরোর এই ক্ষুদ্রতম রকেট বা স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেলটি লম্বায় (এসএসএলভি) ৩৪ মিটার। এর ভেহিকেল ডায়ামিটারের দৈর্ঘ্য ২ মিটারের বেশি নয়।

ইসরোর সাবেক প্রধান ড. মাধবন নায়ার মিশনটিকে বেশ জটিল বলেই দাবি করেছিলেন। খুব অল্প সময়ে রকেটটি বানানো হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন তিনি। উৎক্ষেপণের তৃতীয় পর্যায় পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু শেষ পর্যায়ে গিয়ে সবকিছু ভণ্ডুল হয়ে যায়।

এ বিভাগের আরো খবর