বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রিন্স চার্লসকে ১০ লাখ পাউন্ড দেন ওসামার সৎভাই

  •    
  • ৩১ জুলাই, ২০২২ ১৩:১২

২০১৩ সালের ৩০ অক্টোবর লন্ডনে রাজকীয় বাসভবন ক্লারেন্স হাউসে ৭৩ বছর বয়সী প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে বৈঠক করেন ৭৬ বছর বয়সী বকর বিন লাদেন ও তার ভাই সাফিক বিন লাদেন।

আল কায়েদার প্রয়াত নেতা ওসামা বিন লাদেনের দুই সৎভাইয়ের কাছ থেকে অনুদান হিসেবে ১০ লাখ পাউন্ড নিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রিন্স চার্লস। লাদেন হত্যার দুই বছর পর লন্ডনে রাজকীয় বাসভবনে এই লেনদেন হয়।

দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য সানডে টাইমসের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে শনিবার এ খবর প্রকাশ করেছে দ্য গার্ডিয়ান

প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি ধনাঢ্য লাদেন পরিবারের অন্যতম সদস্য বকর বিন লাদেন ও তার ভাই সাফিক বিন লাদেনের কাছ থেকে এই অর্থ নিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যৎ রাজা প্রিন্স চার্লস। দাতব্য সংস্থা প্রিন্স অব ওয়েলস চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশনের (পিডব্লিউসিএফ) জন্য নেয়া হয়েছিল সেই অর্থ।

২০১৩ সালের ৩০ অক্টোবর লন্ডনে রাজকীয় বাসভবন ক্লারেন্স হাউসে ৭৩ বছর বয়সী প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে বৈঠক করেন ৭৬ বছর বয়সী বকর বিন লাদেন ও তার ভাই সাফিক বিন লাদেন।

এর দুই বছর আগে ২০১১ সালের মে মাসে পাকিস্তানের ইসলাবাদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর অভিযানে নিহত হন টুইন টাওয়ার হামলার হোতা আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেন।

সশস্ত্র গোষ্ঠী আল কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তাদের বাবা ইয়েমেনি বিলিয়নিয়ার মোহাম্মদ বিন আওয়াদ বিন লাদেন। তবে জঙ্গিসংশ্লিষ্টতায় অর্থায়নের অভিযোগ নেই বকর বিন লাদেন ও সাফিক বিন লাদেনের বিরুদ্ধে।

অনুদান জমা হওয়া দাতব্য সংস্থা পিডব্লিউসিএফের চেয়ারম্যান আন চ্যাশায়ার বলেন, ‘শেখ বকর বিন লাদেন ও তার ভাইয়ের কাছ থেকে ২০১৩ সালে গ্রহণ করা অর্থ যথেষ্ট পর্যবেক্ষণ শেষে নেয়া হয়েছিল। সংস্থাটির ট্রাস্টিদের সম্মতিতে নেয়া হয়েছিল এই অর্থ। এর সঙ্গে প্রিন্স চার্লসের এক সিদ্ধান্তকে জড়ানোর চেষ্টা হবে বিভ্রান্তিকর ও অন্যায্য।’

এই দাতব্য সংস্থার আরেক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘লাদেন পরিবারের একজনের অন্যায়-অপরাধের জন্য গোটা পরিবারকে কলঙ্কিত করা উচিত হবে না।’

ব্রিটেনের রাজকীয় বাসভবন ক্লারেন্স হাউসের মুখপাত্র বলেন, ‘অনুদানের এই অর্থ যথার্থ পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনার ভিত্তিতে নেয়া হয়েছে। প্রিন্স চার্লস নয়, এটি করা হয়েছে ট্রাস্টি বোর্ডের সিদ্ধান্তে।’

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আল কায়েদার নেতৃত্বে ভয়াবহতম হামলার শিকার হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। হামলার পর জঙ্গি নেতাদের আশ্রয় দেয়ার অপরাধে আফগানিস্তানে যুদ্ধ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো।

এ বিভাগের আরো খবর