সৌদি আরব, তুরস্ক এবং মিসর ব্রিকসে যোগদানের পরিকল্পনা করেছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট পূর্ণিমা আনন্দ। রাশিয়ার দৈনিক ইজভেস্টিয়াকে বৃহস্পতিবার পূর্ণিমা বলেন, ‘তাদের সম্ভাব্য সদস্যপদের আবেদনগুলো আগামী বছর সাউথ আফ্রিকায় শীর্ষ সম্মেলনে বিবেচনা করা হবে।
‘সৌদি, মিসর এবং তুরস্ক ব্রিকসে যোগ দিতে তাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে। তারা সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আবেদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি, এটি দারুণ পদক্ষেপ। কারণ সম্প্রসারণকে সব সময় ইতিবাচকভাবে দেখা হয়। এটি অবশ্যই ব্রিকসের বিশ্বব্যাপী প্রভাবকে শক্তিশালী করবে।’
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইদ খাতিবজাদেহ ব্লকটিকে ‘বড় কিছুর জন্য অত্যন্ত সৃজনশীল প্রক্রিয়া’ হিসেবে উল্লেখ করার পরপর ব্রিকসে যোগদানে তিন দেশের পরিকল্পনার খবর আসে।
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং সাউথ আফ্রিকাকে নিয়ে ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু অর্থনৈতিক সংস্থা ব্রিকসের। পাঁচ দেশের আদ্যাক্ষরের সঙ্গে মিল রেখে উদীয়মান জাতীয় অর্থনীতির এই সংস্থার নামকরণ করা হয়।
ব্রিকসের পাঁচ সদস্য রাষ্ট্র প্রায় ৩ বিলিয়ন মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে; যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ। ব্লকের বাকি উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে আছে, বিশ্বব্যাপী শান্তি, নিরাপত্তা, উন্নয়ন সহযোগিতা এবং মানবতার উন্নয়নে অবদান রাখা।
আনন্দ বলেন, ‘চলতি বছরের জুনে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের সময় সম্প্রসারণের বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছিল। এটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল বেইজিংয়ে।
‘আশা করছি সৌদি আরব, তুরস্ক এবং মিসরের যোগদানে বেশি সময় লাগবে না। কারণ তারা ইতোমধ্যেই প্রক্রিয়ায় নিযুক্ত আছে।’
ইরান এবং আর্জেন্টিনা জুনের শেষের দিকে এই ব্লকের সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করে।