আদালতের রায় অমান্য করার অপরাধে ভারতের শীর্ষ ধনী ও কিংফিশার এয়ারলাইনসের স্বত্বাধিকারী বিজয় মালিয়াকে চার মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
ভারত সরকার এই বিলিয়নেয়ারকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন।
এভিয়েশন ব্যবসা এবং ফর্মুলা-১ রেসিংয়ের আয়োজক হওয়ার আগে তিনি কিংফিশার ব্র্যান্ডের অধীনে বিয়ার বিক্রি করে বিপুল পরিমাণে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত দশকে ব্যাবসায়িক ধসের আগে, বেসরকারি এয়ারলাইনস কিংফিশার ছিল ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ বাহন।
সোমবার ভারতের সুপ্রিম কোর্ট মালিয়াকে আদালত অবমাননার জন্য দোষী সাব্যস্ত করে। আদালত জানায়, তিনি ঋণখেলাপি হওয়ার পরও তার সম্পদের বিবরণ প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
২০১৭ সালে একই অপরাধের জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তার সন্তানদের কাছে ৪০ মিলিয়ন ডলার স্থানান্তর করার অভিযোগে এমনকি দেউলিয়া ও বিপর্যস্ত কিংফিশার এয়ারলাইনসের ঋণ পরিশোধ না করেই তিনি এয়ারলাইনসের এই বিপুল পরিমাণ অর্থ সন্তানদের নামে পাঠিয়ে দেন, এ কথা আদালতের অভিযোগে বলা হয়।
ধনকুবের মালিয়া ঋণখেলাপি হয়ে ২০১৬ সালে ভারত থেকে পালিয়ে যান। সে সময় এক বিলিয়ন ডলার ঋণখেলাপি হয়ে নয়াদিল্লি ছাড়েন তিনি।
২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যের আদালতে প্রতারকের মামলায় তার বিরুদ্ধে আদেশ দেয়া হয়। সেখানে বলা হয়, তাকে ভারতে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে কোন বাধা নেই।
২০২০ সালে মালিয়া তার প্রত্যাবাসনের আদেশ ঠেকানোর আইনি লড়াইয়ে পুরোপুরি হেরে যান।
পাইলট ও ক্রুদের বেতন ১৫ মাস ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগে ২০১২ সালে কিংফিশার এয়ারলাইনসটি বন্ধ করে দেয়া হয়।