এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথমবারের মতো মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত তিন ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে ভাইরাসবাহিত রোগটি ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ার মধ্যে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দুই দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একজন ব্রিটিশ নাগরিকের শরীরে মাঙ্কিপক্সের ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে।
বিদেশি নাগরিকের মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে শনাক্ত হওয়া ব্যক্তি চলতি বছর সিঙ্গাপুরের প্রথম রোগী।
ওই ব্যক্তির মাঙ্কিপক্স পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে গত ২০ জুন। ৪২ বছর বয়সী ব্রিটিশ নাগরিক ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে কাজ করেন। জুনের মাঝামাঝি সময়ে সিঙ্গাপুরে তিনি একাধিকবার যাওয়া-আসা করেছেন, মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
তিনি সিঙ্গাপুরের জাতীয় সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের একটি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
মঙ্গলবার পর্যন্ত ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ১৩ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের সবাইকে ২১ দিনের জন্য কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে, বিবৃতিতে যোগ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ফ্লাইটে আর কারা তার সংস্পর্শে এসেছেন তাদের কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের মাধ্যমে শনাক্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে এর আগে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছিল ২০১৯ সালে।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার জানিয়েছে, মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ থাকায় দুই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সন্দেহভাজন ওই দুজন ভাইরাল রোগটিতে আক্রান্ত।
নমুনা পরীক্ষার ফল হাতে এলে নিশ্চিত হওয়া যাবে তারা মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন কি না। এর পরই মন্ত্রণালয় সংবাদ সম্মেলন করবে।
সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের একজন বিদেশি নাগরিক। রোববার থেকে তার মধ্যে মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। সোমবার তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করেন। তিনি রাজধানী সিউল থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব শহর বুসানের একটি হাসপাতালে আইসোলেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
নমুনা পরীক্ষা করা দ্বিতীয় ব্যক্তি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কোরিয়ায় এসেছেন জার্মানি থেকে। তাকে ইঞ্চেয়ন মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
কোরিয়ার রোগ নিয়ন্ত্রক ও প্রতিরোধ সংস্থা-কিডিসিএ বুধবার জানিয়েছে, পরীক্ষার ফল পাওয়া গেলেই মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে জাতীয়ভাবে কী কী ব্যবস্থা নেয়া হবে তা রাষ্ট্রীয়ভাবে জানিয়ে দেয়া হবে।
বিশ্বের অন্তত ৩৫টি দেশে এখন পর্যন্ত মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। মহামারির রূপ না নিলেও এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে।