বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তিন ‘বিদেশি’ যোদ্ধাকে মৃত্যুদণ্ড দিল রাশিয়া

  •    
  • ১৩ জুন, ২০২২ ২৩:৩৯

রায় মেনে নিতে পারছেন না দণ্ডপ্রাপ্ত ব্রাহিম সাদউনের বাবা তাহার সাদউন। তার দাবি, ছেলেকে যুদ্ধবন্দী হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। কারণ সে ইউক্রেনীয় নাগরিক এবং আত্মসমর্পন করেছিলেন।

পুতিন বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করার অপরাধে তিন ‘বিদেশিকে’ মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ইউক্রেনের স্ব-ঘোষিত দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের (ডিপিআর) একটি আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মরোক্কান বংশোদ্ভূত ইউক্রেনের নাগরিক ব্রাহিম সাদউন, ব্রিটিশ এইডেন অ্যাসলিন এবং শন পিনার। রাশিয়া ও রুশ সমর্থিত বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনের হয়ে লড়াই করার সময় তাদের আটক করা হয়েছিল।

বিচারক জানিয়েছেন, ডিপিআরে ‘ভাড়াটে কার্যকলাপ’, ‘ক্ষমতা দখল’ এবং ‘সাংবিধানিক আদেশ’ লঙ্ঘনের অপরাধে দোষী প্রমাণিত হয়েছেন তারা।

এ রায়কে মেনে নিতে পারছেন না ব্রাহিম সাদউনের বাবা তাহার সাদউন। তার দাবি, ছেলেকে যুদ্ধবন্দি হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। কারণ সে ইউক্রেনীয় নাগরিক এবং আত্মসমর্পন করেছিলেন।

তাহার সাদউন বলেন, ‘আমার ছেলে ২০২০ সালে ইউক্রেনের নাগরিকত্ব পায়। কিয়েভের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মহাকাশ প্রযুক্তি বিষয়ে লেখাপড়ার অংশ হিসেবে এক বছরের সামরিক প্রশিক্ষণ নেয়ার পর তাকে নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছিল।

পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলের দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চল দুটি বিচ্ছিন্ন রাশিয়ান-সমর্থিত সত্ত্বা; যেটিকে কিয়েভের শাসন থেকে রক্ষার কথা বলে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে পুতিন বাহিনী।

তাহার সাদউন বলেন, ‘সে (ব্রাহিম সাদউন) স্বেচ্ছায় নিজেকে সঁপে দিয়েছে। তাকে ‘যুদ্ধবন্দি’ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব।

‘আমরা আইনি তথ্য-বিনিময়ের জন্য আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। এটি আমাদের অগ্নিপরীক্ষাকে বাড়িয়ে তুলেছে।’

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, সাদউনের বয়স ২১ বছর। তিনি এপ্রিল থেকে বন্দি আছেন।

সাদউনের এক বন্ধুর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, তিনি ব্রিটিশ সেনাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছিলেন, যারা তাকে ২০২১ সালের নভেম্বরে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করতে সাহায্য করেছিল।

তবে তার বাবা দাবি, সাদউন বিভিন্ন ভাষায় পারদর্শী। তাকে অনুবাদক হিসেবে ইউক্রেন সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। যেখানে ছিল না কোনো চুক্তি।

এ রায়ে পশ্চিমা বিশ্বে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। তবে বিচ্ছিন্নতাবাদী দোনেৎস্ক নেতা ডেনিস পুশিলিন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সাজায় পরিবর্তন আসবে না।

তিনি বলেন, ‘তারা অর্থের জন্য বেসামরিক মানুষকে হত্যা করতে ইউক্রেনে এসেছিল। তাই এই সাজা “সম্পূর্ণ ন্যায্য”।’

অন্যদিকে ব্রিটিশ নাগরিক এইডেন অ্যাসলিন এবং শন পিনারের পরিবার বলছে, তারা ২০১৮ সাল থেকে ইউক্রেনে বাস করছে।

এর আগে যুদ্ধাপরাধের দায়ে তিন রুশ সেনাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় ইউক্রেনের আদালত।

এ বিভাগের আরো খবর