বিজেপির বরখাস্ত হওয়া মুখপাত্র নূপুর শর্মার হজরত মুহাম্মদ (স.)-কে অবমাননা করা মন্তব্যের প্রতিবাদে ভারতের উত্তর প্রদেশে গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ করেছে মুসলিমরা। কিছু স্থানের মতো প্রয়াগরাজেও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রয়াগরাজে সহিংসতায় জড়িত এক সন্দেহভাজনের বাড়ি ভাঙার প্রেক্ষাপটে সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন দলের প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি রোববার বলেছেন, যোগী আদিত্যনাথ এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির মতো আচরণ করছেন।
গুজরাটের কচ্চের একটি সমাবেশে ভাষণ দেয়ার সময় ওয়াইসি বলেন, তিনি (যোগী আদিত্যনাথ) এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হয়েছেন। তিনি কাউকে দোষী সাব্যস্ত করবেন এবং তাদের বাড়িঘর ভেঙে দেবেন।
এর আগে প্রয়াগরাজে ১০ জুনের কথিত সহিংসতার মাস্টারমাইন্ড জাভেদ মোহাম্মদের বাড়ি রোববার ভেঙে দিয়েছে প্রয়াগরাজ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (পিডিএ)। এ সময় সেখানে পুলিশ মোতায়েন ছিল।
ভাঙার আগে সকালে জাভেদের বাড়ি তল্লাশি করা হয়। পুলিশ বলছে, অভিযুক্তের বাড়িতে বেআইনি অস্ত্র ও নিষিদ্ধ পোস্টার পাওয়া গেছে।
প্রয়াগরাজ পুলিশের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অজয় কুমার বলেন, ‘আমরা অভিযুক্তের বাড়ি থেকে টুয়েলভ বোরের অবৈধ পিস্তল, থ্রিফিফটিন বোরের পিস্তল, কার্তুজ এবং মাননীয় আদালতের বিরুদ্ধে আপত্তিজনক লেখা নথি পেয়েছি।’
সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে এরই মধ্যে জাভেদ মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত জাভেদ ওয়েলফেয়ার পার্টি অফ ইন্ডিয়ার নেতা। তার মেয়ে আফরিন ফাতেমাও এই দলের একজন কর্মী। গত বছর ভারতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধেও বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন ফাতেমা। পুলিশ বলছে, চলতি সপ্তাহের সহিংসতার বিষয়ে ফাতেমার ভূমিকাও তদন্ত করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের বাড়িতে বেআইনি অস্ত্র ও আপত্তিকর পোস্টার রয়েছে। ভাঙার আগে রোববার সকালে তার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।
কর্তৃপক্ষ বলছে, বাড়িটি অবৈধ ও বাড়ি ভাঙার আগে নোটিশ দেয়া হয়েছিল। যদিও জাভেদের আইনজীবীর দাবি, বাড়িটি জাভেদের স্ত্রীর নামে। এমন কোনো নোটিশ জাভেদের স্ত্রী পাননি।