বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তেলেঙ্গানায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ৬ জনই প্রভাবশালীর ছেলে

  •    
  • ৮ জুন, ২০২২ ০২:১৯

গত সপ্তাহে নিপীড়নের একটি ডিভিও ও কিছু ছবি ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, এক কিশোরী দাঁড়িয়ে আছেন সন্দেহভাজন হেনস্তাকারীদের সঙ্গে। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির এমএলএ (বিধায়ক) রঘুনন্দন রাও এগুলো ফাঁস করেন। সেখানে রঘুনন্দনকে বলতে শোনা যায়, পুলিশ ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।

হায়দরাবাদের তেলেঙ্গানায় হইচই ফেলা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ৬ জনের ৫ জনই অপ্রাপ্তবয়স্ক, যাদের মধ্যে আছে দুই এমএলএ-এর ছেলেও। তারা সবাই পুলিশের হেফাজতে আছে

অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ধর্ষণ, অপহরণ, নির্যাতন এবং পিওসিএসও আইনের ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। যার অর্থ, তাদের মৃত্যুদণ্ড, ২০ বছরের কারাবাস অথবা আজীবন জেল হতে পারে। ষষ্ঠজনের বিরুদ্ধে নারীকে হেনস্তা, শারীরিক আঘাত এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে৷

ভাইরাল ভিডিওতে মেয়েটিকে সন্দেহভাজন হামলাকারীদের সঙ্গে পাবের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার সিভি আনন্দ বলেন, ‘আমরা তাদের নামে কঠোর ধারায় মামলা ঠুকেছি। তাই তারা এই জঘন্য অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি পেতে পারে।’

অভিযুক্তরা ১১-১২ শ্রেণির ছাত্র এবং ‘রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী’ পরিবারের সদস্য। পুলিশের হাতে ধরা পড়া অপ্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে একজন রাজ্যের ক্ষমতাসীন তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির স্থানীয় নেতার ছেলে; একজন তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি নেতা সাঙ্গা রেড্ডির নেতার ছেলে। আছে অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন পার্টির এক এমএলএ-এর ছেলেও।

গত সপ্তাহে নিপীড়নের একটি ডিভিও ও কিছু ছবি ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, এক কিশোরী দাঁড়িয়ে আছেন সন্দেহভাজন হেনস্তাকারীদের সঙ্গে। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির এমএলএ (বিধায়ক) রঘুনন্দন রাও এগুলো ফাঁস করেন। সেখানে রঘুনন্দনকে বলতে শোনা যায়, পুলিশ ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।

প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছিল, অল ইন্ডিয়া মজলিস নেতার ছেলে ঘটনার সময় ছিল না। সে স্থানীয় একটি পেস্ট্রির দোকান থেকে দলছুট হয়েছিল।

পুলিশ কমিশনার সিভি আনন্দ বলেন, ‘সে ইনোভা ব্র্যান্ডের একটি গাড়িতে করে কিছুদূর ঘুরে এসেছিল। পরে একটি ফোন কলে থেকে সে চলে যায়। তাই পাঁচজন ধর্ষণকারী ছিল। ওর (বিধায়কের ছেলে) জড়িত থাকার বিষয়টি জানতে পারি ভিডিও দেখার পর।

দুপুর ১টার দিকে ওই কিশোরী ক্লাবে আসে। পুলিশ বলছে, পাবটি ভাড়া নিয়েছিল অন্তত ১০০ শিক্ষার্থী। তাদের মাথাপিছু খরচ ছিল ১৩০০ রুপি। ওসমান আলি খান নামের একজনের নামে অপ্রাপ্ত বয়স্করা ভাড়া নিয়েছিল মাথাপিছু ৯০০ রুপিতে।

আনন্দ বলেন, ‘মেয়েটিকে হয়রানি করা শুরু হয় পাবের ভেতরেই, বেলা ৩টার দিকে। পরবর্তী সময়ে তার বন্ধু চলে যাওয়ার পর বিকেল প্রায় ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে তারা মেয়েটিকে পাবের বাইরে আটকে ফেলে।

‘ছেলেদের একজন তাকে ঘুরতে নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। মেয়েটিকে ওরা আসলে ফাঁদে ফেলেছিল। হায়দরাবাদের জুবিলি হিলস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।’

এনডিটিভির খবরে বলা হয়, যে গাড়িতে মেয়েটি নিপীড়নের শিকার হয়েছে, সে ইনোভা ব্র্যান্ডের গাড়িটি একটি খামার বাড়ি থেকে (ফার্মহাউস) থেকে সোমবার জব্দ করেছে পুলিশ। অনিবন্ধিত গাড়িটি সম্প্রতি একজন রাজনীতিবিদকে দেয়া হয়েছিল, যিনি সংঘবদ্ধ ধর্ষণে এক অভিযুক্তের বাবা।

ঘটনার পর গাড়িটিকে পরিষ্কার করে ফেলা হয়। তবে ফরেনসিক বিভাগ আশ্বস্ত করেছে, অভিযোগ প্রমাণের জন্য তারা যথেষ্ট আলামত পেয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর