ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোয় রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞার চাপ এবার পশ্চিমা দেশগুলোর ওপরও পড়ছে।
রাশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জ্বালানি সংকটের জন্য রাশিয়াকে দায়ী করে বলেন, তার দেশ হয়তো ভোক্তাদের চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে না।
বাইডেন এমন পরিস্থিতির জন্য ইউক্রেনের চলমান সংকটকেই আংশিকভাবে দায়ী করেছেন। যদিও যুক্তরাষ্ট্রই রাশিয়ার জ্বালানি তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। এর প্রভাব এখন পড়তে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রে।
দেশটির জীবনযাত্রার মান বিদ্যুৎ সরবরাহের সম্ভাব্য ঘাটতির কারণে হুমকির মুখে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশটিতে জ্বালানি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
তবে বাইডেন বলছেন, বর্তমান বিদ্যুৎ ঘাটতি শুধু ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেও এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
বাইডেনের জরুরি ঘোষণায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থেকে সৌর প্যানেল আমদানির ক্ষেত্রে দুই বছরের জন্য শুল্কমুক্তের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। দেশটির বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য স্থাপিত সৌর মডিউলগুলোর প্রায় তিন-চতুর্থাংশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে আমদানি করা হয়।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি তেলের রেকর্ড দাম ও ৪০ বছরের সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির জন্য এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্যসংকটের জন্য রাশিয়াকেই দায়ী করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।