ইউক্রেনে চলমান রুশ সামরিক অভিযান ১০০ দিন অতিক্রম করেছে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পরিকল্পনামাফিকই চলছে এই অভিযান। ইউক্রেন বলছে, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে রুশ সেনারা। এদিকে এই অভিযানকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার ওপর একের পর এক পশ্চিমা অবরোধ আরোপ করা হচ্ছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বলেছেন, ইউক্রেনে আক্রমণ করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঐতিহাসিক ও মৌলিক ভুল করেছেন।
মাখোঁর মতে, রাশিয়া এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ এক রাষ্ট্র।
তবে একই সঙ্গে ফরাসি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, রাশিয়াকে অপমানিত করা উচিত নয়। আমরা কূটনৈতিক উপায়ে এমন একটি পথ প্রশস্ত করতে পারি, যুদ্ধ যাতে বন্ধ হয়।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি তাকে (পুতিনকে) বলেছিলাম যে তিনি তার জনগণের জন্য, নিজের জন্য এবং ইতিহাসের জন্য একটি ঐতিহাসিক ও মৌলিক ভুল করেছেন।
‘আমি মনে করি, সে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। বিচ্ছিন্ন করে ফেলা এক ব্যাপার, কিন্তু এর থেকে বেরিয়ে আসার রাস্তাটা একটি কঠিন পথ।’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমা বাধা উপেক্ষা করে ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর হাজার হাজার মানুষ নিহত ও লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে খারাপ শরণার্থী সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাটো ও পশ্চিমা শক্তি দেশটির পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।