চীনের সাংহাই শহর, বিশাল এই রাষ্ট্রটির বৈশ্বিক বাণিজ্যের কেন্দ্র। করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে দেশের জিরো কোভিড নীতির আলোকে দেয়া টানা দুই মাসের লকডাউনের পর এবার বিধিনিষেধ শিথিল করেছে চীন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের স্থানীয় সময় মধ্যরাত ৪টা থেকে ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষের এই শহরের চারপাশে বাসিন্দাদের অবাধে চলাফেরার অনুমতি দেয়ার জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করেছে।
তবে এখনও শহরের ৬ লাখ ৫০ হাজার বাসিন্দা বাড়িতেই থাকবে।
সাংহাই কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র ইয়িন জিন লকডাউন শিথিলের বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই দিনের জন্যই আমরা অনেক দিন ধরে স্বপ্ন দেখছিলাম।
লকডাউন শিথিল উদযাপন করছে সাংহাইয়ের শহরের বাসিন্দা
‘সবাই অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। এই দিনটি আমরা শক্তভাবে জিতে নিয়েছি এবং আমাদের এটিকে দেখাশোনা ও রক্ষা করতে হবে। আমাদের পরিচিত সাংহাইয়ের চেহারায় ফিরে আসার জন্য সাংহাইকে স্বাগত জানাই।‘
বুধবার থেকে সাংহাইয়ের গণপরিবহনগুলোও সেবা দেয়া শুরু করেছে। তবে এখনও শহরটিতে সিনেমা হল, জাদুঘর, জিম খোলার অনুমতি দেয়া হয়নি। এখনও অধিকাংশ শিশুই সরাসরি স্কুলে যোগদান করতে পারবে না।
মধ্যরাতে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছে শহরের বাসিন্দারা
চলাফেরার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ শিথিল হলেও নতুন কিছু নিয়ম চালু করা হয়েছে। নিজের বাড়ির আঙ্গিনা থেকে কিংবা এপার্টমেন্ট ভবন থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে একজন বাসিন্দাকে তার মোবাইলের সবুজ স্বাস্থ্য কোড দেখাতে হবে।
এ ছাড়া গণপরিবহনে ওঠার ক্ষেত্রে, ব্যাংকে-শপিং মলে যেতে শেষ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট লাগবে। সাংহাই থেকে অন্য শহরে যেতে হলে ৭ থেকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
চীন করোনাভাইরাস মহামারির শুরুর থেকেই এর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এরই মধ্যে দেশটির ৯০ শতাংশ বাসিন্দাকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেয়া হয়েছে।
এরপরও দেশটিতে ১৪ হাজার ৬০৪ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। আক্রান্ত হয়েছে ২৪ লাখ ২৬ হাজার ৫৬৮ জন। জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি রিসার্চ বলছে, বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৬২ লাখ ৮৯ হাজার ২৪১ জন।