যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে হামলায় এবার ফ্রান্সের এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় লুহানস্কের সেভেরোদোনেৎস্ক শহরে এ ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় সময় সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
৩২ বছর বয়সী ফ্রেডেরিক লেক্লারক-ইমহফ বিএফএমটিভির হয়ে একটি এলাকা থেকে নিরাপদে মানুষকে সরিয়ে নেয়ার সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই সাংবাদিক যে গাড়িতে ছিলেন সেখানে হামলা হয়। এতে তিনি ও তার এক সহকর্মী আহত হন। পরে তার মৃত্যু হয়।
রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর দ্বিতীয়বারের মতো যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহে ইউক্রেনে গিয়েছিলেন সাংবাদিক ফ্রেডেরিক।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধের বাস্তবতা দেখতে সেখানে গিয়েছিলেন ফ্রান্সের সাংবাদিক।
বোমা বিস্ফোরণে সাংবাদিক ফ্রেডেরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে তার প্রতিষ্ঠান বিএফএমটিভি। টেলিভিশনটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ঘটনা ইউক্রেনের সাংবাদিকদের জীবনের ঝুঁকির কথা মনে করিয়ে দেয়।
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের তথ্য মতে, এ পর্যন্ত আটজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন ইউক্রেনে যুদ্ধে। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।
বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর এখন পর্যন্ত দেশটির ৮০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। একই সঙ্গে দেশ ছেড়েছে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ।
যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এ যুদ্ধ বন্ধ না হলে বিশ্বজুড়ে বড় ধরনের খাদ্যসংকট তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।