রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাতের কারণে নিজেদের সার্বভৌমত্ব ‘সম্পূর্ণ ধ্বংসের’ মুখোমুখি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ এই সাবেক কিয়েভ শাসক বলেন, ‘ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ক্ষতির মুখে। সম্ভবত পোল্যান্ডের সঙ্গে একীভূত হতে চলেছে।’
‘চলমান অশান্তির শিকড় এবং দেশের সম্ভাব্য ভাগ্য সম্পর্কে আমি আমার চিন্তাভাবনা ভাগ করেছি। কিছু পশ্চিমা রাষ্ট্র কিয়েভ-মস্কো সম্পর্কে ছেদ ধরাতে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে একটা প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিল।
‘রাশিয়াকে দুর্বল করতে কিছু পশ্চিমা দেশ ইউক্রেনকে একটি অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। সুনির্দিষ্টভাবে একটি অঞ্চল, স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে নয়।
‘এই সংঘাত দেশের জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। দক্ষিণ ও পূর্বের বিস্তীর্ণ অঞ্চল হারানোর পাশাপাশি সার্বভৌমত্ব ধ্বংসের ঝুঁকিতে আছে ইউক্রেন।’
হুমকিটি কেবল সামরিক সংঘাত প্রশ্নে নয়, দেশটির পশ্চিম প্রতিবেশী রাষ্ট্র পোল্যান্ডের সঙ্গে কিয়েভ শাসকদের সম্পর্ক আরও জোরদার আভাস মিলছে।
পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুদা এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি চলতি মাসের শুরুতে জানিয়েছিলেন, দুই দেশের মধ্যে ‘আর কোনো সীমান্ত থাকবে না’। সে সময় পোলিশ নাগরিকদের বিশেষ আইনি মর্যাদা দেয়ার পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছিল কিয়েভ।
ইয়ানুকোভিচ সতর্ক করে বলেন, “সম্পর্ক জোরদার করলেই কথিত ‘ইউরোপীয় স্বপ্ন’ বাস্তব হবে না। বরং পোল্যান্ডের সঙ্গে ‘একত্রীকরণের’ হুমকি বাড়বে।”
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচ। ফাইল ছবি
রাশিয়ার জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম আরটির খবরে বলা হয়, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশপন্থি অনেক। এই অঞ্চলগুলো রাশিয়া কেড়ে নিতে পারে আশঙ্কা ছিল আগেই। আর তাই জার্মানি এবং ফ্রান্সের মতো পশ্চিমা দালালরা ইউক্রেনের বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোকে বিশেষ মর্যাদা দেয়ার নকশা করেছিল।
তবে পাশা পাল্টে যায় ইউক্রেনে রাশিয়ার আকস্মিক অভিযানে। মিনস্ক চুক্তির শর্তাবলি অমান্য করায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। ইউক্রেনের পূর্বের দুটি বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা দেয়ার কিছু পর কিয়েভ অভিযান শুরু হয়।