ইউক্রেনে চলছে রুশ সামরিক অভিযান। রুশ সেনাদের অগ্রযাত্রা প্রতিহত করার দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেও লড়াইয়ে লক্ষ্যপূরণ ও সাফল্যের দাবি করেছে। তবে ইউক্রেনের সেনা সংখ্যা নিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি এবার নতুন তথ্য দিয়েছেন।
রাশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেলেনস্কি দাবি করেছেন, ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর আগে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর পরিধির থেকে যুদ্ধের ৩ মাসে এসে তা ৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমাদের দরকার ছিল ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার সেনা। কিন্তু সে সময় যুদ্ধের জন্য সক্ষম সেনা ছিল মাত্র ১ লাখ ২০ হাজার।'
জেলেনস্কি দাবি করেন, ২০২২-এর শুরুতেই তিনি সেনা সংখ্যা ১ লাখ বাড়ানোর আদেশ জারি করেন। আমাদের অর্থ থাক বা না থাক। যদিও এই সংখ্যাটাও রুশ সেনাদের অগ্রযাত্রা ঠেকানোর মতো যথেষ্ট ছিল না।
তিনি বলেন, এখন সংখ্যাটি ৭ লাখ। আর আপনি ৭ লাখ সেনার লড়াইয়ের ফলাফল পাচ্ছেন।
ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে তোলার জন্য ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সীদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
সামরিক পোশাকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি
এ সপ্তাহের শুরুতে নতুন একটি আইনের প্রস্তাবও ইউক্রেনের পার্লামেন্টে উঠেছে, যুদ্ধে সক্ষম ব্যক্তি যারা লড়াইতে অংশগ্রহণ করেনি। তাদের নাগরিকত্ব বাতিল হতে পারে।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।
ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।