ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের ৮৮ দিনে মস্কোর সঙ্গে ফের শান্তি আলোচনার আগ্রহ জানিয়েছে কিয়েভ। ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী মারিউপোলের হাতছাড়া হওয়ার পর, নতুন শান্তি আলোচনায় জোর দিচ্ছে কিয়েভ সরকার। এর আগে দুই পক্ষের মধ্যে শেষ আলোচনা হয়েছিল ২২ এপ্রিল।
টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে আলোচনা হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কূটনৈতিকভাবেই যুদ্ধ শেষ হবে বলে আমি মনে করি।’
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, এই মুহূর্তে লুহানস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের শক্তিশালী পয়েন্ট সেভেরোডোনেটস্ক দখলের চেষ্টা জোরদার করছে রাশিয়া।
প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা সেনাদের সরিয়ে নিতে প্রস্তুত, যারা আজভস্টাল স্টিল প্ল্যান্টে আটকে আছে।
ভিক্টর মেদভেদচুক নামে মস্কোর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বন্দী বিনিময়ের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। তবে ঠিক কত বন্দী বিনিময় হবে তা স্পষ্ট করা হয়নি।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পূর্ব ও দক্ষিণে ইউক্রেনীয় বাহিনীর ওপর বিমান হামলার পাশাপাশি গোলার আঘাত চলছে থেমে থেমে। কিয়েভের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটিগুলোতে এসব হামলা চলছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পশ্চিমাদের হুমকি-ধামকি আর নানা নিষেধাজ্ঞায়ও থামছে না লড়াই।
তবে রাশিয়া বলছে, বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার কোনো পরিকল্পনা নেই তাদের। তাই শান্তি আলোচনার পক্ষে তাদের অবস্থান শক্ত।
এদিকে ইউক্রেনের জাইটোমির অঞ্চলে পশ্চিমা অস্ত্রের একটি বড় চালান ধ্বংস করে দেয়ার দাবি করেছে মস্কো। কৃষ্ণ সাগর থেকে ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার হয়েছে এই হামলায়।
রুশ সামরিক বাহিনী আরও জানায়, দুটি ইউক্রেনীয় যুদ্ধবিমান এবং ১৪টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে তারা।